ডিমের খোসা সাধারণত ফেলে দেওয়া হলেও এটি নানা উপায়ে ব্যবহার করা যায়। খোসায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, খনিজ পদার্থ, প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ফসফরাস থাকে। তাই এটি গাছের সার, রূপচর্চা, এমনকি ঘরোয়া কাজেও দারুণভাবে কাজে লাগে। জেনে নিন ডিমের খোসার কিছু উপকারী ব্যবহার—
১️⃣ চুলের যত্নে
নিয়মিত শ্যাম্পুতে ডিমের খোসার গুঁড়া মিশিয়ে ব্যবহার করুন। এটি মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগায় এবং চুলকে মজবুত করে।
২️⃣ গাছের সার হিসেবে
ডিমের খোসায় প্রায় ৯৫ শতাংশ ক্যালসিয়াম কার্বনেট থাকে, যা মাটির উর্বরতা বাড়ায়। খোসা গুঁড়া করে গাছের গোড়ায় ছড়িয়ে দিলে গাছ ভালো বাড়ে এবং পোকামাকড় দূরে থাকে।
৩️⃣ ত্বক পরিচর্যায়
ডিমের খোসা গুঁড়া করে অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে লাগান। এটি ত্বকের জৌলুস বাড়ায়।
আরেকটি উপায় হলো—লেবুর রস ও মধুর সঙ্গে ডিমের খোসার পাউডার মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করা। এটি ত্বকের ময়লা দূর করে লোমকূপ পরিষ্কার রাখে।
৪️⃣ বাসনের পোড়া দাগ দূর করতে
বাসনে জমে থাকা পোড়া দাগ তুলতে ডিমের খোসা ব্যবহার করুন। হালকা করে ঘষে নিলেই দাগ সহজে উঠে যাবে।
৫️⃣ রান্নাঘরের সিঙ্ক পরিষ্কারে
সিঙ্ক বন্ধ হয়ে গেলে ডিমের খোসা মিহি গুঁড়া করে সিঙ্কের মুখে দিয়ে কল খুলে দিন। এটি ময়লা পরিষ্কার করতে সাহায্য করবে।
৬️⃣ দাঁত উজ্জ্বল করতে
১ চা চামচ ডিমের খোসার গুঁড়ার সঙ্গে এক চিমটি বেকিং সোডা ও সামান্য নারকেল তেল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি দাঁতে ব্যবহার করলে দাঁতের হলদে ভাব কমে যাবে এবং উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে।
৭️⃣ পাখি ও মুরগির খাবারে
পাখি বা মুরগির খাবারে ক্যালসিয়াম ও খনিজ যোগ করতে ডিমের খোসা শুকিয়ে গুঁড়া করে মিশিয়ে দিন। এটি তাদের হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।
ডিমের খোসা তাই শুধু রান্নাঘরের বর্জ্য নয়, এটি হতে পারে ঘরোয়া যত্ন, সৌন্দর্যচর্চা ও বাগান পরিচর্যার এক মূল্যবান উপাদান।