বৈশাখের রুক্ষ আবহাওয়া আর প্রখর রোদে পুড়ছে জনজীবন। প্রতিদিনই গ্রীষ্মের খরতাপ বেড়ে চলেছে। এই প্রচণ্ড গরমে সুস্থ থাকতে সবচেয়ে জরুরি হলো শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা। এক্ষেত্রে নির্জলা পানি যেমন প্রয়োজনীয়, তেমনি স্বাদ আর পুষ্টি বাড়াতে ঘরোয়া বিভিন্ন পানীয়ও হতে পারে দারুণ সহায়ক। তবে বাজারের প্যাকেটজাত জুস এড়িয়ে চলাই ভালো, কারণ এতে উচ্চমাত্রায় চিনি থাকে, যা ডায়াবেটিস রোগী এবং অন্যান্যদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই চিনিমুক্ত বা কম চিনিযুক্ত, উচ্চ পুষ্টিগুণ সম্পন্ন সতেজ গ্রীষ্মকালীন পানীয়ই হতে পারে সেরা পছন্দ।
নিচে এমন কিছু স্বাস্থ্যকর পানীয়ের উদাহরণ দেওয়া হলো, যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার পাশাপাশি বাড়তি পুষ্টি জোগাবে:
ঘোল এমন এক জনপ্রিয় ঠান্ডা পানীয়, যা প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ এবং হজমে সহায়ক। এটি মূলত পাতলা দই বা দুধ থেকে তৈরি, যার স্বাদ বাড়াতে ভাজা জিরা গুঁড়ো, তাজা ধনেপাতা, এক চিমটি কালো গোলমরিচ ও লবণ মেশানো যায়। এতে কম শর্করা এবং ভালো ব্যাকটেরিয়া বেশি থাকে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও আদর্শ।
প্রাকৃতিকভাবে সবচেয়ে স্বস্তিদায়ক ও পুষ্টিকর পানীয় হলো ডাবের পানি। এতে কম ক্যালোরি, স্বল্প শর্করা, উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম ও ইলেক্ট্রোলাইট থাকে, যা শরীরকে ঠান্ডা ও হাইড্রেটেড রাখতে সহায়তা করে। তবে রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে এটি পরিমিত পরিমাণে পান করা উচিত।
‘ভিটামিন সি’ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ আমলকির রস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং বিপাক ক্রিয়া উন্নত করতে সহায়ক। তাজা আমলকি থেকে রস বের করে সামান্য লবণ ও পুদিনা পাতা মিশিয়ে পান করলে তা আরও সুস্বাদু হয়ে ওঠে।
এক জগ ঠান্ডা পানিতে শসার টুকরো ও তাজা পুদিনা পাতা মিশিয়ে এক ঘণ্টা রেখে দিন। এতে শসা ও পুদিনার নির্যাস পানিতে মিশে গিয়ে দারুণ সতেজতা আনে। এটি হজমে সহায়ক এবং রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করে।
এই ধরনের স্বাস্থ্যকর পানীয় শরীরে বাড়তি তাজা অনুভূতি আনার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পুষ্টিও জোগাবে। তাই এই গরমে শরবতে সতেজতা খুঁজুন, থাকুন সুস্থ।