রক্তচাপ সারাদিনই ওঠানামা করে। আমাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম, মানসিক চাপ, খাদ্যাভ্যাস ও ঘুমের ধরণ সরাসরি রক্তচাপকে প্রভাবিত করে। তবে সকালে রক্তচাপ অস্বাভাবিকভাবে বেশি বা কম থাকলে শরীরের ভেতরে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। দীর্ঘদিন এমন অবস্থা চলতে থাকলে জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই সুস্থ থাকতে নিয়মিত রক্তচাপ পর্যবেক্ষণ করা জরুরি।
সাধারণত রাতে ঘুমের সময় রক্তচাপ কিছুটা কমে যায়। কিন্তু সকাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে কর্টিসল ও অ্যাড্রেনালিন হরমোন সক্রিয় হয়ে ওঠে, যা রক্তচাপ বাড়ায়। এ সময় হৃদপিণ্ড ও রক্তনালীর ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। ফলে দিনের শুরুটা কার্ডিওভাসকুলার ঝুঁকির দিক থেকে তুলনামূলকভাবে দুর্বল ধরা হয়।
স্লিপ অ্যাপনিয়া
অতিরিক্ত লবণ খাওয়া
ঘুমের ঘাটতি
সময়মতো ওষুধ না খাওয়া
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ওষুধ সাধারণত সকালে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। বিশেষ নির্দেশনা না থাকলে রাতে ওষুধ খেলে ঘুমের সময় রক্তচাপ অতিরিক্ত কমে গিয়ে অজ্ঞান হওয়ার মতো ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। তাই প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ওষুধ খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
দৈনন্দিন অভ্যাস রক্তচাপকে স্থিতিশীল রাখতে বড় ভূমিকা রাখে। তবে কিছু কারণে হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে, যেমন—
লবণসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া
নাস্তা না করা
অতিরিক্ত লবণ ও ক্যাফেইন গ্রহণ
মানসিক চাপ
প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম বা হাঁটাহাঁটি করা
পর্যাপ্ত পানি পান
ধ্যান বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করা
কম লবণযুক্ত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া
সব ধরনের রক্তচাপ ওঠানামা বিপজ্জনক নয়। তবে হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে গেলে মাথা ঘোরা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, ঝাপসা দেখা, বুকে ব্যথা বা শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা দিলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
চেয়ারম্যানঃ এম এস চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালকঃ মোঃ এম রহমান, ঠিকানাঃ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত