
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যমুনায় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তারা প্রধান উপদেষ্টার কাছে কয়েকটি রাজনৈতিক উদ্বেগ তুলে ধরেছেন। বিশেষ করে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করা প্রধান লক্ষ্য।
ফখরুল বলেন, “এই মুহূর্তে যা প্রয়োজন, তা হলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কেয়ারটেকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে গঠন করা। প্রশাসনকে পুরোপুরি নিরপেক্ষভাবে পরিচালনা করতে হবে।” তিনি আরও জানান, সরকারের সেক্রেটারিয়েট ও জেলা প্রশাসনে যারা এখনও পক্ষপাতিত্বপূর্ণ অবস্থানে আছেন, তাদের সরিয়ে নিরপেক্ষ কর্মকর্তা নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়েছে।
তিনি বলেন, “পুলিশের নতুন নিয়োগ বা পদোন্নতি দেওয়ার ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, এবং বিচার বিভাগে বিশেষ করে হায়ার জুডিশিয়ারিতে যারা ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ছিলেন, তাদের সরিয়ে নিরপেক্ষ বিচারক নিয়োগের ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। যদিও এটি মূলত বিচার বিভাগের বিষয়, তবে প্রধান উপদেষ্টা দায়িত্বে থাকায় আমরা আমাদের উদ্বেগগুলো জানিয়েছি।”
ফখরুল আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নিরপেক্ষভাবে পরিচালনা করার এবং সরকারের মধ্যে কোনও দলীয় লোক থাকলে তাদের অপসারণের জন্যও তারা দাবি জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল বৈঠক করেন, যেখানে ফখরুলের সঙ্গে ছিলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহ উদ্দিন আহমদ। বৈঠক শেষে সন্ধ্যা ৭টা ১১ মিনিটে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব জানান, কোনো উপদেষ্টার বিষয়ে তিনি সুনির্দিষ্টভাবে নাম উল্লেখ করেননি।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২৫
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি
Leave a Reply