ডিজিটাল স্পেসে প্রতারকদের হাত থেকে নিরাপদ থাকতে হলে শুধু ব্যাংকিং ও মোবাইল আর্থিক সেবার অ্যাপই নয়, অন্যান্য স্মার্টফোন অ্যাপের নিরাপত্তার প্রতিও সমান গুরুত্ব দেওয়া জরুরি।
কারণ, যদি কোনোভাবে আপনার সোশ্যাল মিডিয়া বা মেসেজিং অ্যাপগুলোর নিয়ন্ত্রণ প্রতারকদের হাতে চলে যায়, তাহলে তারা আপনার পরিচয় ব্যবহার করে জালিয়াতি বা বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ চালাতে পারে। এমনকি, মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে আপনার ছদ্মবেশে পরিচিতদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনাও অহরহ ঘটছে।
প্রিয়জনদের বিপদে আর্থিক সহায়তা করা আমাদের মানবিক দায়িত্ব। তবে এই আবেগকেই হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে প্রতারকরা। আজকাল বেশিরভাগ অনুরোধই আসে হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, ইমো, টেলিগ্রাম, ভাইবার-এর মতো মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে। এই প্ল্যাটফর্মে আপনার পরিচিত কেউ বিপদে পড়ে অর্থ চাইছে—এমন বার্তা পেলে সরাসরি সাড়া না দিয়ে আগে যাচাই-বাছাই করা অত্যন্ত জরুরি। এই ধরনের প্রতারণার কৌশলকে বলা হয় সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং।
ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ারের ক্ষেত্রেও থাকতে হবে সচেতন।
অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিবারের সদস্যদের তথ্য, এনআইডি ও পাসপোর্ট নম্বর, কর্মস্থল সংক্রান্ত তথ্য শেয়ার করার সময় সতর্ক না থাকলে, তা প্রতারকদের হাতে চলে যেতে পারে। বিশেষ করে, আপনি যদি বিভিন্ন মেসেজিং গ্রুপে যুক্ত থাকেন, যেখানে অপরিচিতরাও থাকতে পারে, তাহলে সেখানে ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করাটা হতে পারে নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি।
সতর্কতা এবং সচেতন ব্যবহারই পারে আপনাকে প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা করতে। ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য নিজের অ্যাকাউন্ট ও তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করুন, সন্দেহজনক বার্তা বা অনুরোধ এলে যাচাই ছাড়া সাড়া দেবেন না, এবং সর্বদা প্রযুক্তি ব্যবহারে সচেতন থাকুন।