সপ্তম দিনে গড়িয়েছে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত। একে অপরকে লক্ষ্য করে শত শত মিসাইল ছোড়ার পাশাপাশি নিয়মিত ড্রোন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দেশ দুটি। ইসরায়েল একের পর এক পারমাণবিক স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ইরানের সামরিক শক্তি খর্ব করতে চাইছে। অন্যদিকে, নজিরবিহীন পাল্টা আঘাতে ইরান অনেকটাই দুর্বল করে দিয়েছে ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। দিনের শুরুতেই বড় ধরনের আরেকটি হামলা চালিয়েছে তেহরান।
ইরানের সাম্প্রতিক হামলায় আঘাত হেনেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কমান্ড অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (আইডিএফ সি৪১) সদর দপ্তর এবং গ্যাভ-ইয়াম টেকনোলজি পার্কে অবস্থিত একটি সামরিক গোয়েন্দা শিবিরে। একইসঙ্গে ওই এলাকায় অবস্থিত এক হাজার শয্যার সোরোকা মেডিকেল সেন্টারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্রের সৃষ্ট শকওয়েভে। এছাড়া তেল আবিবে অবস্থিত ইসরায়েলের স্টক এক্সচেঞ্জ ভবনেও বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ এবং মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই-এর বরাতে এ তথ্য প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকালে বড় পরিসরের এই হামলায় ইরান কমপক্ষে ২৫টি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে, যেগুলোর লক্ষ্য ছিল সামরিক ঘাঁটি, গোয়েন্দা শিবির এবং অর্থনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।
তেহরান জানিয়েছে, তাদের এই হামলার মূল লক্ষ্য ছিল আইডিএফ সি৪১ সদর দপ্তর ও গ্যাভ-ইয়াম টেকনোলজি পার্ক। উভয়ই ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বেয়ার শেভার কাছেই অবস্থিত।
এদিকে, ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রী উরিয়েল বুসো সোরোকা মেডিকেল সেন্টারের ওপর হামলাকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে একটি হাসপাতাল লক্ষ্যবস্তু করা চরম অমানবিকতা।
হামলার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কঠোর প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছেন। আল জাজিরা ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ইরানের সর্বশেষ হামলায় ইসরায়েলে অন্তত ৩২ জন আহত হয়েছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।