বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ২৮ অক্টোবর নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ১৮ দফা সুপারিশ উপস্থাপন করেছে। নিচে সে সুপারিশগুলোর সংক্ষিপ্ত ও সংগঠিত রূপ দেওয়া হলো:
নির্বাচন সময়সূচি ও সংবিধানিক ভিত্তি: জুলাই সনদ আইনগত করা হলে কার্যাদেশ জারির পর নভেম্বরে গণভোট/নির্বাচন আয়োজন করার ব্যবস্থা।
দলীয় প্রতীক নিশ্চিতকরণ: প্রতিটি নিবন্ধিত দল তাদের নিজস্ব দলীয় প্রতীকেই নির্বাচন করবে; জোটগতভাবে অন্যের প্রতীকের ব্যবহার মানবেনা।
ইসি ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা: নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে শতভাগ নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে; প্রিজাইডিং, পোলিং, আনসার ও আইনশৃঙ্খলা নিয়োগে পক্ষপাতমূলক আচরণ নিষিদ্ধ।
অফিসার নিয়োগ পদ্ধতি: মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের (ডিসি, এসপি, ইউএনও, ওসি) শতভাগ লটারির ভিত্তিতে নিয়োগ; রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে ইসি’র নিজস্ব সক্ষম কর্মকর্তাদেরও নিয়োগ নিশ্চিত। বিতর্কিত—প্রশ্নবিদ্ধ অফিসারদের পুনরায় দায়িত্ব দেয়া হবে না।
নিরাপত্তা ও মোতায়েন: ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্ত সামরিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন নিশ্চিত; ভোটের কমপক্ষে এক সপ্তাহ পূর্বে কঠোর উপস্থিতি বজায় রাখতে হবে।
ভোটকেন্দ্রে প্রযুক্তি ও নজরদারি: সকল ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন নিশ্চিত করতে হবে।
অবৈধ অস্ত্র ও সন্ত্রাস দমন: দেশে ছড়িয়ে থাকা অবৈধ অস্ত্র জব্দ ও বিতর্কিত লাইসেন্স বাতিল করে সংগ্রহ; সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িতদের গ্রেফতার ও আইনের আওতায় আনা।
ভোটার সুবিধা ও নিরাপত্তা: ভোটার তালিকায় স্পষ্ট ছবি নিশ্চিত করে পোলিং এজেন্টদের সরবরাহ; ভোটারদের নিরাপদ যাতায়াত ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা।
অংশগ্রহণ ও সমতা: সব অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলকে সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে নির্বাচন মাঠ সমতল করা।
বিশেষ ভোটাভ্যাস ও পর্যবেক্ষক যাচাই: প্রবাসী ভোটারদের জন্য আইডি/পাসপোর্টভিত্তিক সহজ পদ্ধতি; নির্বাচনে অংশ নেওয়া পর্যবেক্ষকদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ও নিরপেক্ষতা যাচাই করা হবে।
পোস্টাল ভোট সুবিধা: নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট প্রদানের ব্যবস্থা হবে।
ভোটকেন্দ্র পুনর্বিন্যাস: অভিযোগ বিবেচনায় নিয়ে বদলে দেওয়া হয়েছে এমন বা ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রসমূহ পরিবর্তন বা সংশোধনের অনুরোধ।