জাতীয় নির্বাচন চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে—এ অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, যেকোনো পরিস্থিতিতেই এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন হবে, যা অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।
বুধবার (২৮ মে) টোকিওর ইম্পেরিয়াল হোটেলে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জাপান-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ লীগের (জেবিপিএফএল) সভাপতি তারো আসোর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এ কথা বলেন।
চার দিনের সফরে অধ্যাপক ইউনূস টোকিও পৌঁছান স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৫ মিনিটে। সফরকালে তিনি নিক্কেই ফোরামে অংশগ্রহণ এবং জাপানি নেতাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার, খুনিদের বিচার এবং সাধারণ নির্বাচন—এই তিনটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। তিনি ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পুনর্গঠন এবং ঋণ পরিশোধে সরকারের অগ্রগতির কথাও তুলে ধরেন।
তিনি জানান, জাপান গত ১০ মাসে বাংলাদেশের পাশে থেকে সহায়তা দিয়েছে এবং এটিকে তিনি “কৃতজ্ঞতা সফর” হিসেবে উল্লেখ করেন। এ সময় তিনি তারো আসোকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
তারো আসো একটি মসৃণ গণতান্ত্রিক রূপান্তরের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং অধ্যাপক ইউনূসকে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতায় ভূমিকা রাখার জন্য ধন্যবাদ জানান।
বৈঠকে আরও আলোচনা হয় ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট (ইপিএ) নিয়ে, যা সেপ্টেম্বরে স্বাক্ষরিত হতে পারে। এতে জাপান হবে বাংলাদেশের সঙ্গে ইপিএ স্বাক্ষরকারী প্রথম দেশ।
প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও আলোচনা করেন এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জাপানের সহযোগিতা কামনা করেন।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী ও এসডিজি মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।