ছাত্রদলের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখার নেতা মো. জোবায়েদ হোসেন হত্যাকাণ্ডের প্রধান সন্দেহভাজন মাহির রহমানকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন তাঁর মা রেখা আক্তার।
সোমবার সকালে তিনি নিজেই ছেলে মাহিরকে নিয়ে রাজধানীর বংশাল থানায় হাজির হয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
মাহিরের খালু ইমরান শেখ গণমাধ্যমকে জানান, “রবিবার রাত তিনটার দিকে পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে যায়। পরে মাহিরের মা বিষয়টি জানতে পেরে সোমবার সকাল সাতটার দিকে মাহিরকে থানায় হস্তান্তর করেন। এরপর আমাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।”
তবে মাহিরকে তাঁর মা থানায় সোপর্দ করেছেন—এ তথ্য স্বীকার করেনি পুলিশ। তবে পুলিশ জানিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডে মাহিরসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
লালবাগ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. আমিনুল কবীর তরফদার বলেন, “আমরা হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছি। খুব শিগগিরই বিস্তারিত জানানো হবে।”
দুপুর পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা দায়ের হয়নি বলে জানা গেছে।
এর আগে গত ১৯ অক্টোবর (শনিবার) বিকেলে পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় টিউশনি করতে যাওয়ার পথে খুন হন জবি শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসেন। পরে একটি বাড়ির সিঁড়ি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত জোবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত জানান, তাঁরা পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন—জবি শিক্ষার্থী বর্ষা, তাঁর বাবা-মা, বর্ষার প্রেমিক মাহির রহমান এবং মাহিরের বন্ধু নাফিস। তবে তিনি অভিযোগ করেন, থানায় মামলা নিতে কিছুটা বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে।
সৈকতের দাবি, “বংশাল থানার ওসি বলেছেন, এতজনের নাম দিলে মামলা দুর্বল হয়ে যাবে, বিশেষ করে বর্ষার বাবা-মায়ের নাম দিলে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা শুধু চাই—ভাইয়ের হত্যার সঙ্গে জড়িত সবাই যেন আইনের আওতায় আসে। ন্যায়বিচারই আমাদের একমাত্র দাবি।”
অতিরিক্ত উপকমিশনার আমিনুল কবীর জানান, নিহতের পরিবার দাফনের কাজ শেষে রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে মামলা করবে।