ঈদের দিনও পরিবারের সঙ্গে ভিডিও কলে ছিলেন রফিকুল ইসলাম। মেয়ে-জামাইদের সঙ্গে কোরবানির আয়োজন করতে স্ত্রীকে পাঠিয়েছিলেন টাকা, বলেছিলেন যেন কিছুতেই কোনো ঘাটতি না থাকে। অথচ ঈদের পরদিন রোববার (৮ জুন) বিকেলে মালয়েশিয়ায় স্ট্রোকজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
রফিকুল ইসলাম যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের পোলতাডাঙ্গা গ্রামের শমসের আলীর ছেলে। ভাগ্যের ফেরে অভাবের সংসারে সুখ ফেরাতে ১৪ বছর আগে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান তিনি।
তার ভাগনে, মালয়েশিয়া প্রবাসী নাজমুল ইসলাম জানান, হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়, কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকেরা জানান, স্ট্রোকেই মৃত্যু হয়েছে তার।
রফিকুল ইসলামের বড় ভাই শরিফুল ইসলাম বলেন, ছোট ভাই রফিকুল গত ডিসেম্বরে দেশে এসে ছোট মেয়েকে বিয়ে দিয়ে আবার মালয়েশিয়ায় ফিরে যান। তার দুই মেয়ে রয়েছে।
মৃত্যুর খবর দেশে পৌঁছালে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। স্ত্রীর আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে আকাশ-বাতাস—“যার টাকায় ঈদে কোরবানি করলাম, জামাই-মেয়েদের নিয়ে আয়োজন করলাম, আজ সেই নেই।”
পরিবার জানায়, রফিকুল ইসলামের মরদেহ দেশে আনার প্রস্তুতি চলছে। তবে কবে নাগাদ আসবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
চেয়ারম্যানঃ এম এস চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালকঃ মোঃ এম রহমান, ঠিকানাঃ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত