ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির (শায়খে চরমোনাই) মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, শুধু নেতা পরিবর্তন হলেই দেশে শান্তি আসে না। নীতির পরিবর্তন করতে হবে। যেসব দল বিগত দিনে শাসন করেছে তারা বৈষম্য দূর করতে পারেনি। জুলাই বিপ্লবের পর বৈষম্য ও দুর্নীতি আগের মতোই চলছে। চাঁদাবাজি ও ঘুষ বাণিজ্য সবই রয়েছে। চোরের মাধ্যমে কখনো চুরি বন্ধ হয়না।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে যশোরের খাজুরা মনিন্দ্রনাথ মিত্র মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। ‘ছাত্র-জনতার বিপ্লবে সংগঠিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার এবং ফিলিস্তিনে ইজরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যা বন্ধের’ দাবিতে ইসলামী আন্দোলন খাজুরা সাংগঠনিক থানা এই জনসভার আয়োজন করে।জনসভায় সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, বিগত ১৬ বছরে ২৮ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। দেশে ইসলামী শাসন চালু হলে একটি টাকাও চুরি হবে না। ক্ষুধার তাড়নায় মা তার সন্তানকে বিক্রি করবে না। ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই- যেখানে থাকবে না কোনো দুর্নীতি, বৈষম্য ও অসহায় মানুষের আর্তনাদ।শায়খে চরমোনাই বলেন, বরাদ্দের সকল কাজ শতভাগ সম্পন্ন হবে। বর্তমান অর্থনীতিতে ধনীকে ধনী বানায়, গরিবকে আরো গরিব বানায়। ইসলামী অর্থনীতি চালু হলে পুঁজিবাদী অর্থনীতি নির্মূল করা হবে। হাতপাখা একটি শান্তির প্রতিক। ইসলামী আন্দোলন ক্ষমতায় গেলে দেশ ও জনগণের কল্যাণ হবে।
ইসলামী আন্দোলন খাজুরা সাংগঠনিক থানার সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ মুজাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও অনুষ্ঠান বিশেষ অতিথি ছিলেন, সংগঠটির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ শোয়াইব হোসেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন, যশোর জেলার সভাপতি মুহাম্মাদ আব্দুল হালিম মিঞা, সহসভাপতি প্রফেসর ড. ফারুক আহমাদ, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ আলী সরদার, উপদেষ্টা মাওলানা নাজমুল হুদা, ইসলামী আইনজীবী পরিষদের জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল বায়েজীদ হোসাইন, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নুর ইসলাম নুরুল, ইসলামী আন্দোলন বাঘারপাড়া উপজেলার সভাপতি মাওলানা বেলাল হোসাইন প্রমুখ।
জনসভা শেষে সন্ধ্যার পর রায়পুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে আয়োজিত ওয়াজ মাহফিলে প্রধান বক্তার বক্তৃতা করেন, শায়খে চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম।