২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রোজা শুরুর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। এ চিঠির মাধ্যমে নির্বাচন আয়োজনে সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানানো হলো।
বুধবার (৬ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর পাঠানো চিঠিতে উল্লিখিত সময়ে প্রত্যাশিত মানের অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের অনুরোধ করেছেন।
এর আগে, মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে’ জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচন কমিশনকে এই বিষয়ে চিঠি দেওয়ার ঘোষণা দেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ এই চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, বিগত ১৫ বছর ধরে নাগরিকরা ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ায় আগামী নির্বাচন যেন এক মহা-আনন্দের উৎসবে রূপ নেয়, সেই লক্ষ্যে প্রস্তুতি নেওয়ার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেছেন।
ভাষণে উল্লেখিত প্রত্যাশার আলোকে নির্বাচন যেন হয় “আনন্দ-উৎসবে, শান্তি-শৃঙ্খলায়, ভোটার উপস্থিতিতে, সৌহার্দ্য ও আন্তরিকতায় অবিস্মরণীয়”— সে লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্যও চিঠিতে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। পাশাপাশি, যথোপযুক্ত প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতির কথাও জানানো হয়েছে।
সবশেষে, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার ভিত্তিতে উল্লিখিত সময়ে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।