বৈরী আবহাওয়ার কারণে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল (এফএসআরইউ) থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। এতে তিতাস ও কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির আওতাধীন এলাকায় গ্যাসচাপ সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে পেট্রোবাংলা।
সংস্থাটি জানিয়েছে, সাগর উত্তাল থাকলে এলএনজি খালাস কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হয়। ফলে এলএনজি সরবরাহ এক-তৃতীয়াংশ কমে গেছে। তবে আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছে তারা। সাময়িক এই ভোগান্তির জন্য গ্রাহকদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে পেট্রোবাংলা।
বর্তমানে দেশে গ্যাসের মোট দৈনিক চাহিদা প্রায় ৫৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট। অথচ স্থানীয় উৎপাদন ও আমদানিসহ প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২৮০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে। তার মধ্যে এলএনজি সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় সংকট আরও তীব্র হয়েছে।
এক সময় দেশীয় গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে দৈনিক ২৮০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হতো। তবে মজুদ কমে যাওয়ায় এখন সেই উৎপাদন নেমে এসেছে ১৯০০ মিলিয়নের নিচে। ঘাটতি মেটাতে ২০১৮ সাল থেকে এলএনজি আমদানি শুরু করে সরকার। বর্তমানে দেশে দুইটি ভাসমান টার্মিনাল (এফএসআরইউ) রয়েছে, যা মিলিয়ে সর্বোচ্চ ১১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করতে সক্ষম।
সাময়িক এই সংকটে শিল্প ও আবাসিক ব্যবহারকারীদের মধ্যে চাপ দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, টেকসই সমাধানে দীর্ঘমেয়াদি কৌশল নির্ধারণ জরুরি হয়ে পড়েছে।
চেয়ারম্যানঃ এম এস চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালকঃ মোঃ এম রহমান, ঠিকানাঃ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত