গ্রীষ্মকাল মানেই লিচুর মৌসুম। বাজারে এখন মিলছে মিষ্টি, রসালো ও লোভনীয় এই ফল। খাওয়ার পর আমরা সাধারণত লিচুর খোসা ফেলে দিই। কিন্তু জানলে অবাক হবেন, এই খোসাও হতে পারে নানাভাবে ব্যবহারযোগ্য এক অসাধারণ উপাদান। লিচুর খোসায় রয়েছে এমন কিছু উপকারী উপাদান, যা ঘরের বাগান থেকে শুরু করে রান্নাঘর পর্যন্ত কাজে লাগানো যায়।

জেনে নিন লিচুর খোসার তিনটি কার্যকর ও প্রাকৃতিক ব্যবহার:

১. প্রাকৃতিক সার হিসেবে ব্যবহার
লিচুর খোসা গাছের জন্য দারুণ এক জৈব সার হিসেবে কাজ করে। এতে রয়েছে পটাশিয়াম, ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়াম, যা গাছের স্বাস্থ্য ও বৃদ্ধি বাড়াতে সহায়তা করে।

কীভাবে ব্যবহার করবেন:
লিচুর খোসা ভালোভাবে শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন। এরপর সেই গুঁড়ো সরাসরি টব বা বাগানের মাটিতে মিশিয়ে দিন। এটি ধীরে ধীরে মাটিকে উর্বর করে গাছকে আরও সতেজ ও সবল করে তুলবে।

২. প্রাকৃতিক কীটনাশক স্প্রে
লিচুর খোসায় থাকা কিছু প্রাকৃতিক যৌগ পোকামাকড় দূরে রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে পিঁপড়া ও ছোট পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণে এটি বেশ কার্যকর।

কীভাবে ব্যবহার করবেন:
শুকনো খোসা গুঁড়ো করে পানির সঙ্গে মিশিয়ে একটি স্প্রে বোতলে ভরে নিন। রান্নাঘরের তাক, জানালার ধারে কিংবা পোকামাকড় যেসব জায়গায় বেশি আসে সেখানে এটি ছিটিয়ে দিন। রাসায়নিক ছাড়াই ঘর থাকবে পোকামাকড়মুক্ত।

৩. প্রাকৃতিক ক্লিনার
লিচুর খোসা দিয়ে তৈরি পেস্ট কাপড়ের দাগ তুলতে সাহায্য করতে পারে, যা একটি ঘরোয়া ও পরিবেশবান্ধব ক্লিনার হিসেবে কাজ করে।

কীভাবে ব্যবহার করবেন:
শুকনো খোসা গুঁড়ো করে সামান্য পানির সঙ্গে মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এটি দাগযুক্ত জায়গায় লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। সহজ দাগ দূর করতে এটি কার্যকর।

পরিবেশবান্ধব, সাশ্রয়ী ও প্রাকৃতিক—লিচুর খোসার ব্যবহার তাই আর ফেলনার নয়। এবারের লিচু খাওয়ার পর খোসাগুলো সামলে রাখুন, কাজে লাগবে নানাভাবে!