যুক্তরাজ্যে সফররত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের সাক্ষাৎ অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস জানান, “এটা আইনি প্রক্রিয়া, আমি এতে বাধা দিতে চাই না। আদালতই ঠিক করবে অভিযোগ যথেষ্ট কিনা।”
তিনি আরও বলেন, টিউলিপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ওপর তার পূর্ণ আস্থা রয়েছে এবং প্রমাণ মিললে আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রত্যর্পণও চাওয়া হতে পারে।
অন্যদিকে, ইউনূস সাক্ষাৎ না করায় হতাশা প্রকাশ করেছেন টিউলিপ সিদ্দিক। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “সাংবাদিকদের সামনে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছড়ানো হচ্ছে। এটি যদি সত্যিই আইনি প্রক্রিয়া হতো, তবে আমার আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হতো।”
তিনি আরও জানান, “আমি একজন ব্রিটিশ নাগরিক এবং যুক্তরাজ্যের সংসদের একজন গর্বিত সদস্য, আদালতেই প্রমাণ হবে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না।”
এর আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের নৈতিক উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাস টিউলিপের বিরুদ্ধে তদন্ত করে অনিয়মের প্রমাণ না পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া ২৩৪ বিলিয়ন ডলার যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছে বলে দাবি করে তা তদন্তে ব্রিটিশ আইনজীবী নিয়োগ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। ড. ইউনূস জানান, ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ সহায়তা করছে এবং আন্তর্জাতিক দুর্নীতি সমন্বয় কেন্দ্র (আইএসিসিসি) সহায়তার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে।
তবে সফরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের সঙ্গে তার বৈঠক হয়নি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “এটা এক ধরনের সুযোগ হারানো। কেউ ব্যস্ত ছিলেন, হয়তো তাই দেখা হয়নি।”