ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রেকর্ড সংখ্যক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রাশিয়া। স্থানীয় সময় রোববার রাতভর চালানো এই হামলায় প্রথমবারের মতো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইউক্রেনের মন্ত্রিপরিষদ ভবন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া স্ভিরিডেনকো।
এক ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, “প্রথমবারের মতো শত্রু হামলায় সরকারি ভবনের ছাদ ও উপরতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন উদ্ধারকর্মীরা।” তিনি আরও বলেন, ‘‘শত্রুরা প্রতিদিন আমাদের দেশের মানুষের ওপর সন্ত্রাস চালাচ্ছে।’’
ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, এটি ছিল রাশিয়ার পক্ষ থেকে সবচেয়ে বড় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। সর্বশেষ এই হামলায় রাশিয়া ৮০০-এরও বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে। এর মধ্যে ৯টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ৫৬টি ড্রোন ৩৭টি স্থানে সরাসরি আঘাত হানে। ভূপাতিত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ পড়ে আরও ৮টি এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়।
সকালে কিয়েভের কেন্দ্রস্থল ‘স্বাধীনতা স্কয়ার’ (মেইদান) সংলগ্ন এলাকা থেকে বিশাল ধোঁয়ার কুণ্ডলি আকাশে উঠতে দেখা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এর পরপরই শহরের ওপর দিয়ে দ্রুতগতিতে উড়ে যেতে দেখা যায় দুটি রুশ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং কিছুক্ষণ পর বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা যায়।
সাধারণত কিয়েভের কেন্দ্র এলাকায় এমন হামলা বিরল, কারণ সেখানে শক্তিশালী বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। তবে এবার হামলার মাত্রা এতটাই তীব্র ছিল যে, তা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অতিক্রম করে ক্ষয়ক্ষতি করতে সক্ষম হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।