
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ হুসেন (২৫) হত্যার ঘটনায় তার প্রাইভেট পড়ুয়া বার্জিস শাবনাম বর্ষা (১৯) উপস্থিত ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের সময় জুবায়েদ বর্ষার কাছে সাহায্যের জন্য অনুরোধ করলেও বর্ষা কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু নিশ্চিত করেছে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে লালবাগ থানার ডিসি মল্লিক আহসান উদ্দিন সামি এ তথ্য জানান। ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম পিপিএম লিখিত বক্তব্যে জানান, বর্ষা গত এক বছর ধরে জুবায়েদকে পড়াতো এবং শেষ চার মাস থেকে তাকে পছন্দ করত।
বর্ষার সাবেক প্রেমিক মাহির রহমান (১৯) জুবায়েদকে পছন্দ করা সম্পর্কে জানতে পেরে ক্ষুব্ধ হয়। পরবর্তীতে বর্ষা মাহিরকে বিষয়টি জানায় এবং মাহির ও বর্ষা মিলিতভাবে হত্যার পরিকল্পনা করে। গত মাসের শেষের দিকে জুবায়েদকে হত্যার জন্য পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়।
ঘটনার দিন বর্ষা জুবায়েদের অবস্থান জানার পর মাহিরকে তা জানায়। বাসার নিচে আসার সময় জুবায়েদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধস্তাধস্তি হয়। তখন মাহির জুবায়েদের গলায় ছুরিকাঘাত করেন। মাহির সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠার সময় জুবায়েদ সিঁড়ি থেকে পড়ে যায় এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় জুবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত মঙ্গলবার বংশাল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়েছে— মাহির রহমান, বার্জিস শাবনাম বর্ষা, ফারদিন আহম্মেদ আয়লান। এছাড়া আরও পাঁচ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২৫
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি
Leave a Reply