
গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’র দাবিতে অনড় অবস্থান থেকে অবশেষে সরে এসেছে। দলটি এখন ‘শাপলা কলি’ প্রতীক গ্রহণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
রোববার (২ নভেম্বর) বিকেলে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
“আমরা শাপলা, সাদা শাপলা ও শাপলা কলি—এই তিনটি প্রতীক চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছি। যদি ‘শাপলা কলি’ দেওয়া হয়, আমরা সেটিই নেব। তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীরাও বিষয়টি ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন,” — বলেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এনসিপিসহ দুটি নতুন দলকে নিবন্ধন দেয় নির্বাচন কমিশন। নিবন্ধনের পর তফসিলে থাকা ৫০টি প্রতীকের মধ্যে থেকে একটি বেছে নিতে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করেছিল ইসি।
তবে নির্ধারিত সময়ে প্রতীক না বেছে নিয়ে এনসিপি ‘শাপলা’ প্রতীকের দাবি জানায়। কিন্তু ইসি জানায়, প্রতীক তালিকায় ‘শাপলা’ না থাকায় সেটি দেওয়া সম্ভব নয়।
এ অবস্থায় এনসিপি নেতারা ঘোষণা দেন, তারা শুধু ‘শাপলা’ প্রতীকেই ভোট করবেন, অন্যথায় কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামবেন। এই অনড় অবস্থানের মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার ইসি প্রতীক তালিকায় ‘শাপলা কলি’সহ চারটি নতুন প্রতীক অন্তর্ভুক্ত করে।
সে সময় এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা প্রশ্ন তোলেন,
“আমরা যখন শাপলা চেয়েছি, তখন ইসি বলেছিল তালিকায় নেই, দেওয়া যাবে না। এখন তারা ‘শাপলা কলি’ কীভাবে অন্তর্ভুক্ত করল, তা পরিষ্কার করতে হবে।”
আজকের বৈঠকে ‘শাপলা’ প্রতীক থেকে সরে আসার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন,
“এটাকে একধরনের ইঞ্জিনিয়ারিং কমিশন বলা যায়। এখানে অনেক কিছু ইঞ্জিনিয়ারিং হচ্ছে। আমরা সেই জায়গা থেকে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। এখন বৃহত্তর স্বার্থে ‘শাপলা কলি’ প্রতীক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
তিনি আরও বলেন,
“আমরা শাপলা কলি নিব। যদিও আমরা শাপলার ব্যাখ্যা পাইনি, তবে কমিশনের স্বেচ্ছাচারী আচরণের মধ্যে থেকে নির্বাচনী প্রস্তুতি থামানো ঠিক হবে না। তাই বৃহত্তর রাজনৈতিক স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত।”
সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক খালে খালেদ সাইফুল্লাহ, যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা এবং নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২৫
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি
Leave a Reply