
নির্বাচনকালীন মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তা নিয়োগে স্বজনপ্রীতি ও স্বার্থের সংঘাত ঠেকাতে নিজ জেলা বা শ্বশুরবাড়ি এলাকায় কোনো কর্মকর্তার পদায়ন না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। একই সঙ্গে যে এলাকায় কর্মকর্তার আত্মীয়-স্বজন নির্বাচনে প্রার্থী, সেখানে তাদের পোস্টিং না দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আজ দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে নির্বাচনকালীন প্রশাসনিক ব্যবস্থা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার ঠেকানো ও নিরাপত্তা জোরদারসহ নানা বিষয়ে নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রেস সচিব জানান, গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে জেলা প্রশাসক (ডিসি), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি), নির্বাহী কর্মকর্তা ও ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাদের এবারের নির্বাচনে যুক্ত না রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি বলেন, যারা গত তিনটা নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার, পোলিং অফিসার বা অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন—তাদের এবার নির্বাচনী দায়িত্বে রাখা যাবে না।
এআই-নির্ভর অপপ্রচার ও ভুয়া তথ্য ছড়ানো রোধে টিকটকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কোম্পানির সঙ্গে বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রেস সচিব বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় যেভাবে মিথ্যা তথ্য ও বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে, তা প্রতিরোধে আজকের বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। দুটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে—এর একটি হবে সেন্ট্রাল কো-অর্ডিনেশন কমিটি, যাদের উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত কার্যক্রম থাকবে।
বৈঠকে নির্বাচনকালীন নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নির্বাচনে ৯২ হাজার ৫০০ সদস্য মোতায়েন থাকবে—এর মধ্যে ৯০ হাজার সেনা সদস্য এবং বাকিরা নৌবাহিনীর সদস্য। এছাড়া ভোটের ৭২ ঘণ্টা আগে থেকে ৭২ ঘণ্টা পরে পর্যন্ত বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২৫
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি
Leave a Reply