সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বাধ্যতামূলক করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইসি চারটি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, সরকারি কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালায় জাতীয় পরিচয়পত্রকে বয়সের প্রমাণের দলিল হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে। এতে এনআইডি সংশোধনের জটিলতা কমবে এবং ভবিষ্যতে চাকরিপ্রার্থীদের ভোগান্তি হ্রাস পাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ইসি থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘চাকরি (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ, ২০১৫’ অনুসারে বেতন প্রদানে এনআইডি তথ্য বাধ্যতামূলক। তাই বয়স প্রমাণসহ চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে এনআইডির তথ্য বিবেচনায় নেওয়া প্রয়োজন। নিয়োগের পর এনআইডির তথ্যের সঙ্গে সার্ভিস বহিতে লিপিবদ্ধ তথ্যের অমিল থাকলে তা সংশোধনে জটিলতা দেখা দেয়, যা নিরসনের জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত জরুরি।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর জানান, অনেক চাকরিপ্রাপ্ত ব্যক্তি নিয়োগপত্র ও এনআইডিতে তথ্যগত পার্থক্যের কারণে নিয়মিত বেতন পান না। পরে সংশোধনের জন্য তারা জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে এলে বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এসব সমস্যা সমাধানে এনআইডিকে বাধ্যতামূলক করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, একটি নির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারণ করা হবে, যার পর কেউ যদি তথ্য গোপন করে চাকরিতে যোগদান করে, তাহলে তার এনআইডি আর সংশোধন করা হবে না। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে আলোচনায় সবার সম্মতি পাওয়া গেছে। আগামী আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।