1. live@media71bd.com : Media71 : Media71
  2. info@www.media71bd.com : Media 71 :
মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৩ অপরাহ্ন

দুদকের নজরে নেই হেনোলাক্স এর নুরুল দম্পতির ভেল্কিবাজি

এইচ এম হাকিম, বিশেষ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

নেই কোন ডাক্তারী সনদ তবুও তিনি নামের আগে ব্যবহার করেন ডাক্তার, বাস্তবে নেই কোন কোম্পানি তবুও তিনি নিজেকে ৩/৪ টি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক দাবী করেন,কখনো তিনি আমিন পোল্ট্রি লিমিটেডের চেয়ারম্যান, আমিন ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং আমিন ফুড প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিজের পরিচয় দিতেন শুধু এতোটুকুতে সীমাবদ্ধ নয় এর পিছনে রয়েছে তার এক ভয়ঙ্কর প্রতারণার ফাঁদ, তিনি আর কেউ নয় তিনি হলেন হেনোলাক্স কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল আমিন ও তার স্ত্রী ফাতেমা আমিন হেনোলাক্স কোম্পানির সাইনবোর্ড ব্যবহার করে এখনো প্রতারণা অব্যাহত রেখেছেন সাবেক এই কোম্পানির এমডি নুরুল আমিন ও ফাতেমা আমিন দম্পতি, বাস্তবে কোম্পানি গুলোর অস্তিত্ব না থাকলেও এখনো তার হেনোলাক্স সহ ৩/৪ টি কোম্পানির এমডি পরিচয় দিয়ে শেয়ার বিক্রি অযুহাত দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন শত শত কোটি টাকা। নিজেদের কোনো কোম্পানি বা বৈধ ব্যবসা বা আয়ের উৎস না থাকলেও নুরুল আমিন দম্পতি পতিত আওয়ামীলীগ সরকারের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় হাজার কোটি টাকার স্থাবর অস্থাবর সম্পদের মালিক বনে গেছেন। নিজ জেলা নরসিংদী এবং রাজধানী ঢাকা শহরে গড়েছেন অডেল সম্পদের পাহাড়। একের পর এক গড়ে তুলছেন বিলাসবহুল গাড়ি বাড়ি ও ফ্ল্যাট।প্রায় হাজার কোটি টাকার মালিকানা-তার সবই প্রতারণার মাধ্যমে উপার্জন করা। তাকে বিশ্বাস করে নিঃস্ব হয়েছেন অনেক সাধারণ মানুষ। এই প্রতারক আর কেউ নন। তিনি হলেন প্রায় ১৮ বছর আগে বন্ধ হওয়া হেনোলাক্স কোম্পানির মালিক নুরুল আমিন ও তার স্ত্রী ফাতেমা আমিন দম্পতি। এই দম্পতি প্রতারণা করে শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তাদের প্রতারণার শিকার হয়ে কুষ্টিয়ার বাসিন্দা গাজী আনিসুর রহমান জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যাও করেন। নিজের শরীরে আগুন দিয়ে ব্যবসায়ী গাজী আনিসের আত্মাহুতির ঘটনায় পরে সামনে এসেছিলো হেনোলাক্স কোম্পানির নাম।

মৃত্যুর আগে গাজী আনিস জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অভিযোগ করে গেছেন, হেনোলাক্স কোম্পানিতে তিনি ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। লভ্যাংশসহ সেই টাকা ৩ কোটির ওপরে পৌঁছালেও কোম্পানির মালিক নুরুল আমিন কোনো অর্থ ফেরত দেননি। বরং তাকে উন্টো বিভিন্ন ভাবে হেনস্থা করেছিলেন।

নুরুল আমিন ১৯৮১-১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ঢাকার গোপীবাগ এলাকায় কাদের হোমিও হল নামে একটি প্রতিষ্ঠানে ১৫ বছর চাকরি করেন। এরই মধ্যে ১৯৯১ সালে হেনোলাক্স কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। চাকরির পাশাপাশি শুরু করেন ব্যবসা। পরে ১৯৯৬ সালে দীর্ঘ ১৫ বছরের চাকরিটি নুরুল আমিন ছেড়ে দেন। পরিচিতি পায় তার হেনোলাক্স কোম্পানি সে সময়ে হেনোলাক্স কোম্পানিটি সরকারের ভ্যাট টেক্স ফাঁকি মেয়াদ উর্তিরন ক্যামিক্যাল ব্যবহার, সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ফর্সা ক্রিম তৈরি সহ বিভিন্ন প্রকার প্রতারণা জরিত ছিলেন তারা যা সে সময়কার তাদের কোম্পানিতে চাকুরী করা এক শ্রমিকের কাছ থেকে জানা যায়।

খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার জয়নগর গ্রামের অতি নিম্নবৃত্ত পরিবারের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক নুরুল আমিন খুবই অর্থকষ্টে দিনযান করতেন, তার এই অর্থ কষ্ঠকে দুরিকরণের জন্য ঢাকা এসে একটি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা কেন্দ্রে মাসিক বেতনে চাকুরী করতেন, তার পরে ত্বক ফর্সা ও মুখের দাগ দূর করার কয়েকটি ক্রিম নিয়ে তিনি হেনোলাক্স নাম দিয়ে শুরু করেন ব্যবসা। হঠাৎ করেই নানা প্রতিকূলতায় ২০০৪ সালে ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হন নূরুল আমিন। পরে হেনোলাক্স ফুড নামে খাদ্যপণ্য ও আমিন হারবাল কোম্পানি নামে ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু লোকসানের কারণে দুটি ব্যবসাই ২০১৯ সালে বন্ধ করে দেন। বর্তমানে তিনি নিজেকে আমিন ফুড প্রসেসিং অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং ও আমিন পোলট্রি লিমিটেডের চেয়ারম্যান বলে দাবি করেন। প্রকৃতপক্ষে এসব কোম্পানির কোনোটিরই কার্যক্রম নেই। এমনকি এসব প্রতিষ্ঠানের প্রায় সবগুলোয়ই ঠিকানা দেখানো হয়েছে ৩/১, পুরানা পল্টন, হেনোলাক্স সেন্টারকে। আর বিভিন্ন ব্যক্তিকে এ কোম্পানির নাম ও সেগুলোতে পার্টনার বানানোর কথা বলে নুরুল আমিন দম্পতি হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। নুরুল আমিন দম্পতি নিজেদের ব্যবসায় অংশীদার বানানোর যে প্রলোভনের ফাঁদ পেতেছিলেন তাতে পা দিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন অনেকেই, যাদের একজন হলেন কুষ্টিয়ার ঠিকাদার গাজী আনিসুর রহমান। কিন্তু সবাই প্রতিবাদ না করলেও গাজী আনিসুর রহমান আত্মাহুতি দিয়ে এই প্রতারক দম্পতির মুখোশ উন্মোচন করেন। এ ঘটনায় নুরুল আমিন দম্পতির বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় ২০২২ সালের ৫ জুলাই মামলা করা হয়। মামলা নং ৯।

অভিযোগ রয়েছে, প্রায় দুই যুগ ধরে বন্ধ থাকা কোম্পানির ভুয়া অংশীদারত্ব দিতে ভয়ংকর প্রতারণার ফাঁদ পাতে নুরুল আমিন দম্পতি। তাদের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে ব্যবসায় অংশীদার হতে চাওয়া আগ্রহীদের অনেকেই খুইয়েছেন কোটি কোটি টাকা। প্রতারক এই দম্পতি কথিত হেনোলাক্স গ্রুপের প্রধান কার্যালয় হিসেবে ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করেন ৩/১, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০। আর স্কাইভিউ হেনোলাক্স সেন্টার নামের ১১ তলার এই বাণিজ্যিক ভবনটির তৃতীয় তলায় কথিত হেনোলাক্স গ্রুপের প্রধান কার্যালয় দেখানো হয়েছে।

কর্ণফুলী গার্ডেন সিটির এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাংবাদিকদের বলেন, সদ্য বিদায়ি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি অ্যাপার্টমেন্টে নুরুল আমিনের অনেক আধিপত্য ছিল। কারণ কর্ণফুলী গার্ডেন সিটিতে নূরুল আমিনের বাসায় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের অনেক
মন্ত্রী ও প্রভাবশালী নেতার যাতায়াত ছিল। আর এ সুযোগে প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি মালিক সমিতির কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তার দাপটে ভবনের সবাই তটস্থ থাকতেন। অনেক দিন ধরে তার কোনো ব্যবসা নেই। অথচ অর্থ সম্পদ বেড়েছে অনেকগুণ। তার এ সবই হয়েছে প্রতারণার মাধ্যমে অন্য মানুষের অর্থ আত্মসাৎ করে।

অন্যদিকে নূরুল আমিনের কথিত হেনোলাক্স কারখানা নামের রাজধানীর কদমতলী এলাকায় মোহাম্মদবাগে ৩ তলা ভবন রয়েছে। যার নম্বর ৯৮৭। মোহাম্মদবাগের এই বাড়িটি এক সময়ে হেনোলাক্সের কারখানা ছিল। সেটি অনেক আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। এরপর এই ভবনের একটি অংশে কিছুদিন সেমাই উৎপাদন করা হতো। এখন সেটিও বন্ধ রয়েছে। আগে এই কারখানা কদমতলীর মেরাজনগরে ছিল। পরে এটি মোহাম্মদবাগে এসেছে। এসব ছাড়াও নুরুল আমিনের পূর্বাচল এলাকার পিংক সিটিতে এ ব্লকের ৮ নম্বর রোডের ৫ নম্বর ডুপ্লেক্স বাড়ি, ১০৯ নম্বর কর্ণফুলী গার্ডেন সিটিতে ৪টি ফ্ল্যাট, যার নম্বর ১৬/ডি, ১৭/এ, ১৭/ডি এবং ১৯/এ। আবার পূর্বাচল এলাকার পিংক সিটিতে ‘এ’ ব্লকের ৮ নম্বর রোডের ৫ নম্বর ডুপ্লেক্স বাড়িটিও তার।

কদমতলীর মেরাজনগরে নুরুল আমিনের ‘হেনোলাক্স ভবন-১’ নামের আরও একটি ভবন রয়েছে। যার নম্বর ১০৭৬। ভবনটির নামকরণেই এলাকাবাসীর কাছে হেনোলাক্স মোড় বলে পরিচিত। সেখানেই হেনোলাক্সের প্রথম কারখানা ছিল। পাঁচ কাঠা জমির ওপর চার তলা বিশিষ্ট নির্মিত ‘হেনোলাক্স ভবন-১’ নামের এই ভবনটির নিচ তলায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এবং ওপরের তিন তলায় আবাসিক ফ্ল্যাট আকারে ভাড়া দিয়েছেন তিনি।এছাড়াও মিরপুর উত্তর সাভার সহ বিভিন্ন স্থানে রয়েছে এই দম্পত্তির প্লট ফ্ল্যাট সহ জমি।

নুরুল আমিন একটি প্রতারনা মামলায় জেলে থাকাকালীন সময়ে তার স্ত্রীর সহযোগিতায় জাল জালিয়াতির মাধ্যমে কর্ণফুলী গার্ডেন সিটির সদস্য পদ লাভ করেন, তার এই সদস্য হতে প্রত্যক্ষ এবং পরক্ষ ভাবে সহযোগিতা করেন তৎকালীন সমবায় অফিসে দ্বায়িত্বে থাকা জেলা সমবায় অফিসার, শিহাব উদ্দিন। জেলা সমবায় অফিসার, সাদ্দাম হোসেন, থানা সমবায় অফিসার, ফরহাদ হোসেন, পরিদর্শক তাজকেরা, পরিদর্শক শাজাহান আলী, সাখাওয়াত হোসেন ও মনির হোসেনকে ম্যানেজ করে নিয়ম বহিঃভূত ভাবে তাকে সদস্য করেন এবং নুরুল আমিনকে অব্যধ ভাবে সভাপতি নির্বাচিত করেন। ঘুষ নেওয়ার অপরাধে সমবায় অফিসের ৩ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্থ হয়েছিলেন, একজনের চাকুরী চলে গেলেও ২ জন আবারো সমবায় অফিসে যুক্ত হয়েছেন।

সমবায় অধিদপ্তরের আইন অনুযায়ী কেন ব্যক্তি স্ব শরীরে উপস্থিত না থেকে সদস্য পদ পেতে পারেনা, নুরুল আমিনকে যে সময়ে সদস্য পদ দেওয়া হয়েছে ১৩/০৯/২২ ইংরেজি সনে,সে সময়ে তিনি প্রতারণা মামলায় ছিলেন, কারাগারে থাকা কালিন সময়ে তিনি কি করে সদস্য হলেন।

কর্নফুলী গার্ডেন সিটির নথিপত্র থেকে জানা যায় নুরুল আমিন এর সদস্য পদ পেয়েছেন ১৩-৯-২২ সনে কিন্তু নথিতে দেখা যায় ৭০ নং সদস্য ২৩/০১/২৩ ইং তারিখে সদস্য পদ লাভ করেন কর্নফুলী গার্ডেন সিটির। নুরুল আমিন কর্নফুলী গার্ডেন সিটির সিরিয়াল অনুযায়ী ৭১ নং সদস্য, ৭০ নং সদস্য যদি ২৩-১-২৩ ইংরেজি তারিখে সদস্য পদ লাভ করেন তা হলে ৭১ নং সদস্য নুরুল আমিন ১৩/০৯/২২ ইং তারিখে কি করে কর্নফুলী গার্ডেন সিটির সদস্য হয়? তিনি এগুলো সব করেছেন সম্পূর্ণ জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে অপকর্মগুলো করে সদস্য পদ লাভ করেছেন কোম্পানি বিহীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল আমিন । সে সময়ে তাদের জাল জালিয়াতির বিষয়ে সমবায় অফিসে কর্ণফুলী গার্ডেন সিটির ফ্ল্যাট মালিক সমবায় সমিতির অপর সভাপতি দাবীদার সাইফুল ইসলাম সজিব যোক্তীক দাবী নিয়ে জেলা সমবায় অফিস এবং সমবায় অধিদপ্তরের আবেদন করলে তৎকালীন সভাপতি দাবিদার এবং কয়েকজন সদস্য নিয়ম বহিঃ ভূত ভাবে কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি এ্যাপার্টম্যান্টে জোরপূর্বক ক্ষমতা দখল সহ বিভিন্ন প্রকার অনিয়ম এবং মাসিক ও বাৎসরিক রেজুলেশন না পাওয়াতে নুরুল আমিন সহ কয়েকজন সদস্যদের দ্বায়ী করে ২৪-৭-২৪ ইংরেজি তারিখে ঢাজা জেলা সমবায় অফিসার সাদ্দাম হোসেন সাক্ষরিত স্মারক নং-৪৭.৬১.০০.০০০.২০১.২৬.৩৩-৩৪২/২০০০-১৮৯৯/৯)মূলে কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি এ্যাপার্টমেন্ট মালিক সমবায় সমিতি লিঃ এর বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানে ব্যর্থ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য/সদস্যগণ চিহ্নিতবরণ সহ দ্বায়ী করেন। পর্বর্তিতে ২৩-৬-২৫ ইংরেজি তারিখে সাইফুল ইসলাম সজিব কে বৈধ সভাপতি হিসেবে সমবায় অফিসারদের সাক্ষরিত এক পত্রে কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি এ্যাপার্টম্যান্টের সাইফুল ইসলাম সজিবকে বৈধ সভাপতি হিসেবে বৈধতা দেওয়া হয়।

কর্নফুলী গার্ডেন সিটি এপার্টম্যান্টের বর্তমান সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম সজিব দুর্নীতি দমন কমিশনে নুরুল আমিন এর অবৈধ ক্ষমতা এবং প্রতারণার ও নিময় বহি:ভূত ভাবে অবৈধ সম্পদের বিষয়ে ১৪-১১-২৪ ইংরেজি তারিখে একটি আবেদন দাখিল করেন,এই আবেদনটি দুদক আমলে নিয়ে ২৭-৫-২৫ তার বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত চলমান রয়েছে মর্মে দুদকের স্মারক নং- ০০.০১.০০০০.০১০.০৭.০০১.২৫ (অংশ-১)২৯৩২৩/১(৩ গত ১৪/১১/২৪খ্রি. তারিখে মো. নুরুল আমিন, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আমিন হার্বাল (বিলুপ্ত), ইউনিয়ন-জয়নগর, উপজেলা-শিবপুর, জেলা-নরসিংদী এর বিরুদ্ধে অবৈধ পদবী ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পত্তি অর্জনের বিষয়ে দাখিলকৃত অভিযোগটি কমিশনের সিদ্ধান্তক্রমে অনুসন্ধানাধীন রয়েছে বলে সারক থেকে জানা গেছে ।

কোম্পানি বিহিত একাধিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক পরিচয় দান কারি নুরল আমিন ও ফাতেমা আমিন দম্পতিদের নামে প্রতারনা মামলা সহ সব মিলিয়ে প্রায় ১০০ এর উপর মামলা রয়েছে, অর্থ আত্মসাৎ এর কারনে কয়েক দফা জেল হাজতে যেতে হয়েছে তাদের, কিন্তু তারা জেল থেকে বের হয়েই শুরু করেন আগের মতো প্রতারণা, তাদের এই প্রতারণার কারণে অনেকে অনেক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।

তাদের এই প্রতারণার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার কারণে কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি এ্যাপার্টম্যান্টের সভাপতি সাইফুল ইসলাম সজিব স্ব পরিবারে মারাত্বক আক্রমণের শিকার হয়েছে, এমন কি তার নামে মিথ্যা ভিত্তিহীন মামলাতেও আসামী করেছিলেন নুরুল আমিন দম্পত্তিরা।

কোম্পানি বিহীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল আমিন ও ফাতেমা আমিনের এত সম্পদ এবং টাকা-পয়সার আয়ের উৎস কি? সে সরকারকে যথাযথভাবে ভ্যাট – ট্যাক্স দিয়েছে কিনা এ বিষয় গুলো নিয়ে কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি এ্যাপার্টম্যান ফ্ল্যাট মালিকদের মধ্যে এক গুন্জন শুনা যাচ্ছে।

মানবাধিকার কর্মী আব্দুর রাজ্জাক রাজ বলেন বর্তমান সমাজে নুরুল আমিনদের মতো ভন্ড প্রতারকদের কারণে মানুষ মানুষকে বিশ্বাস করতে চায়না, দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক এর উচিৎ সঠিক তদন্তের মাধ্যমে নুরুল আমিনদের অবৈধ আয়ের বিষ দাঁত ভেঙ্গে দেওয়া।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট
error: Content is protected !!