কাশ্মীরে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে দোষারোপ করছে। একের পর এক কড়া সিদ্ধান্ত নিচ্ছে মোদি সরকার, যার পাল্টা জবাবে বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) পাকিস্তানও কঠোর পদক্ষেপ নেয়। ফলে দুই দেশ এখন ‘ইটের বদলে পাটকেল’ নীতিতে প্রবেশ করেছে।
বিশ্বের নজর এখন ভারতের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দলীয় নেতাদের সঙ্গে একের পর এক বৈঠক করছেন, তবে আলোচনার বিষয়বস্তু গোপন রাখা হচ্ছে।
২০১৬ ও ২০১৯ সালের মতো অতীতে সীমিত সামরিক অভিযানের নজির থাকায় এবারও ভারতের সম্ভাব্য পাল্টা আঘাতের শঙ্কা বাড়ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে ‘ভুল হিসাবের’ ঝুঁকি খুবই বেশি।
ভারতের সামরিক ইতিহাসবিদ শ্রীনাথ রাঘবন বলেন, একপক্ষ বেশি প্রতিক্রিয়া দেখালে, অপরপক্ষও প্রতিক্রিয়া দিতে বাধ্য হয়, যা পরিস্থিতিকে জটিল করে তোলে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলম্যান মনে করেন, ভারতের সীমিত পাল্টা হামলা পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়াকে উস্কে দিতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দুই পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকলে তা বিশ্বকে নতুন যুদ্ধের মুখে দাঁড় করাতে পারে।