ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। পরস্পরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, হুমকি-ধমকি ও সামরিক পদক্ষেপে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে।
২২ এপ্রিল পেহেলগামে ভয়াবহ হামলায় নিহত হন ২৬ জন। এটিকে ২০১৯ সালের পুলওয়ামা ঘটনার পর কাশ্মীরের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে ধরা হচ্ছে। ঘটনার পর পাকিস্তানের জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে ভারত একাধিক কূটনৈতিক ও প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ নেয়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিন বাহিনীকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিয়েছেন যেকোনো হুমকি মোকাবিলায়। এরই মধ্যে নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলওসি) গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। পাকিস্তান দাবি করেছে, ভারতীয় সেনাদের গুলির জবাবে তারা কিয়ানি ও মন্ডল সেক্টরে একটি ভারতীয় চেকপোস্ট ধ্বংস করেছে।
বৃহস্পতিবার (১ মে) পাকিস্তান সেনাবাহিনী এলওসি-সংলগ্ন এলাকায় পূর্ণাঙ্গ সামরিক মহড়া চালায়। এতে আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করে অপারেশনাল দক্ষতা প্রদর্শন করা হয়।
এদিকে, ভারত ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করেছে। জবাবে পাকিস্তান সিমলা চুক্তি স্থগিত, আকাশসীমা বন্ধ এবং ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। সিন্ধু নদের পানি নিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ কড়া বার্তা দিয়েছেন, আর সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন—“সিন্ধু দিয়ে হয় পানি বইবে, না হয় ভারতীয়দের রক্ত।”
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ ও রেলমন্ত্রী মোহাম্মদ হানিফ আব্বাসি পারমাণবিক হামলার প্রস্তুতির কথাও জানান।
উল্টো দিকে, পেহেলগাম হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিশোধের হুমকি দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, “আমরা প্রতিটি সন্ত্রাসী ও তাদের মদতদাতাদের খুঁজে বের করব এবং এমন শাস্তি দেব, যা তারা কল্পনাও করতে পারবে না।”