কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ও হুমকির মধ্যে সীমান্তে প্রতিদিনই চলছে গোলাগুলি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেনাবাহিনীকে যেকোনো হুমকির বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন। একইসঙ্গে, পাকিস্তানও নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলওসি) কাছাকাছি সামরিক মহড়া চালিয়েছে।
পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মিরের প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী আনোয়ারুল হক সীমান্তবর্তী ১৩টি এলাকার বাসিন্দাদের দুই মাসের খাদ্য মজুদের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি, ১০০ কোটি রুপির একটি ফান্ড গঠন করা হয়েছে খাবার, ওষুধ ও জরুরি পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে। এছাড়া, সড়ক অবকাঠামো ঠিক রাখতে সরকারি-বেসরকারি যন্ত্রপাতি মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়াও, নিরাপত্তা শঙ্কায় আজাদ কাশ্মিরের সব মাদরাসা ১০ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও গরমের অজুহাত দেওয়া হলেও, ধর্মবিষয়ক কর্মকর্তারা জানান, ভারতীয় হামলার আশঙ্কাই প্রধান কারণ। তাঁদের মতে, ভারত মাদরাসাগুলোকে জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বলে চিহ্নিত করে হামলা চালাতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, ভারত এখনও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হামলার সুস্পষ্ট প্রমাণ তুলে ধরতে পারেনি। তাই আগাম কোনো পদক্ষেপ আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে। তবে, পারমাণবিক শক্তিধর এই দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে তা নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়বে।