পাসপোর্টে পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া বাতিলের সুফল পেতে শুরু করেছেন নাগরিকরা। চলতি বছরের মার্চ থেকে মে পর্যন্ত সময়ে রেকর্ড ৯ লাখ ৩২ হাজার পাসপোর্ট ইস্যু করেছে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, যা দেশের পাসপোর্ট সেবায় এক যুগান্তকারী সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ভেরিফিকেশন বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়ায় পাসপোর্ট পেতে সময় কমেছে, দুর্নীতি ও দালালচক্রের দৌরাত্ম্য হ্রাস পেয়েছে। পূর্বে আটকে থাকা ১ লাখ ৬৯ হাজার পাসপোর্ট দ্রুত সরবরাহ করা হয়েছে।
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল নূরুল আনোয়ার জানান, এখন নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই গ্রাহকরা পাসপোর্ট পাচ্ছেন। এনআইডি ও জন্মসনদের তথ্যের ভিত্তিতেই যাচাই সম্পন্ন হওয়ায় অতিরিক্ত সময় বা হয়রানির আর সুযোগ নেই।
সাধারণ গ্রাহকরা বলছেন, দালাল ছাড়াই মাত্র ১০ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া এখন সম্ভব হয়েছে। কেউ কেউ এটিকে ‘স্বপ্নের মতো’ বলে অভিহিত করেছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সিদ্ধান্ত নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার একটি বাস্তব উদাহরণ। পাসপোর্ট এখন এনআইডি ও জন্মসনদের মতো একটি মৌলিক পরিচয়পত্রে পরিণত হয়েছে।
সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী, এখন জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মসনদের তথ্য যাচাই করেই নতুন কিংবা পুনঃ ইস্যু পাসপোর্ট দেওয়া যাবে। প্রয়োজন হলে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই পাসপোর্ট সরবরাহ সম্ভব বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।