জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত ‘জুলাই সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঞ্চের সামনে থেকে আন্দোলনকারীদের সরাতে গিয়ে পুলিশ লাঠিপেটা ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে কয়েকজন আহত হন, যাদের হাসপাতালে নিতে দেখা গেছে।
শুক্রবার দুপুরে ‘জুলাই অভ্যুত্থানে’ আহত ও নিহতদের স্বীকৃতি, আইনি সুরক্ষা ও পুনর্বাসনের দাবিতে ‘জুলাই শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধারা’ সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার মঞ্চের সামনে অবস্থান নেন। পরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ মঞ্চে এসে তাদের দাবিগুলো বিবেচনায় নিয়ে ‘জুলাই সনদে সংশোধনী আনার’ ঘোষণা দেন।
তবে প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও আন্দোলনকারীরা না সরলে পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে। এ সময় টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। দুপুর দুইটার দিকে সংসদ ভবনের সামনের সড়কে আগুন জ্বলতে দেখা যায়; এর আগে সেখানে কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দও শোনা যায়।
বৃহস্পতিবার রাতের বিক্ষোভের পর সকালে শতাধিক আন্দোলনকারী সংসদ ভবনের ১২ নম্বর গেটের সামনে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা গেট টপকে ভেতরে প্রবেশ করে মঞ্চের সামনে অতিথিদের চেয়ারে বসে প্রতিবাদ জানান। পরে পুলিশ তাদের খামারবাড়ি মোড় ও আসাদ গেটের দিকে সরিয়ে দেয়।
‘জুলাই যোদ্ধারা’ দাবি করেন, জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া আহতদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, আইনি সুরক্ষা এবং পুনর্বাসন অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে।
সরকার আয়োজিত ‘জুলাই সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান বিকেল চারটায় দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এতে বিএনপি, জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল যোগ দেবে বলে জানা গেছে।
তবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আইনি ভিত্তির নিশ্চয়তা ছাড়া তারা এখনই সনদে স্বাক্ষর করবে না।
অন্যদিকে, সিপিবি, বাসদ, বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ জাসদ জানিয়ে দিয়েছে, সংশোধিত খসড়া না পেলে তারাও সনদে স্বাক্ষর করবে না।