খুলনায় নব-নির্মিত জেলা কারাগারের কার্যক্রম শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে। আজ পুরাতন কারাগার থেকে সাজাপ্রাপ্ত ১০০ জন কয়েদি নতুন কারাগারে স্থানান্তরিত হবেন। তাদের নতুন কারাগারে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানানো হবে।
খুলনা জেলা কারাগারের সুপার মো. নাসির উদ্দিন প্রধান জানান, “সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কয়েদিদের প্রিজন ভ্যানে করে নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হবে।”
এরইমধ্যে নতুন কারাগারে ৮৩ জন কারারক্ষী এবং একজন ডেপুটি জেলা নিযুক্ত হয়েছেন। নতুন কারাগারে সুপার ও জেলার নিয়োগ না হওয়ায়, পুরাতন কারাগারের সুপার মো. নাসির উদ্দিন প্রধান নিজেই দুই কারাগারের দায়িত্ব পালন করবেন। নতুন কারাগারটি পুরাতন কারাগার থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে খুলনা শহরের বাইপাস সড়কে জিরো পয়েন্টে অবস্থিত।
পুরাতন কারাগারটি ভৈরব নদীর তীরে অবস্থিত এবং ১৯১২ সালে নির্মিত। সেখানে বন্দীর ধারণ ক্ষমতা মাত্র ৬৭৮ জন হলেও বর্তমানে প্রায় ১৪০০ বন্দী অবস্থান করছেন। নতুন কারাগার চালু হলে এই চাপ অনেকটাই লাঘব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নতুন কারাগারের বিবরণ:
নির্মাণ ব্যয়: ২৮৮ কোটি টাকা
মোট জমি: ৩০ একর
অবকাঠামো: ৫২টি
সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতা: ৪,০০০ জন বন্দী
সুবিধা: পৃথক ইউনিট (বিচারাধীন ও দণ্ডপ্রাপ্ত), কিশোর ও নারী বন্দীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা, ৫০ শয্যার হাসপাতাল, ওয়ার্কশপ, পাঠাগার, কর্মকর্তাদের সন্তানদের জন্য বিদ্যালয় ও ডে-কেয়ার সেন্টার, নারী বন্দীদের সন্তানসহ থাকার বিনোদন কেন্দ্র
কারা অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগের কারা-উপ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন) মো. মনির হোসেন ইতোমধ্যে নতুন কারাগারে পৌঁছেছেন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।