পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা তিনটি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এই আদেশ দেন। মামলার তিন আসামিই বর্তমানে পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে বলে জানান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কৌঁসুলি মীর আহমেদ আলী সালাম।
তিনি বলেন, “তিন মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে একটিতে শেখ হাসিনাসহ ১২ জন, অন্যটিতে শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৭ জন এবং তৃতীয় মামলায় শেখ হাসিনা ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৮ জন আসামি।” আদালত আগামী ১১ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণআন্দোলনের পর শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হন এবং বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন। তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও দেশের বাইরে রয়েছেন।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ১০ কাঠা করে ছয়টি প্লট বরাদ্দের অভিযোগে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে অনুসন্ধান শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় ১২ জানুয়ারি সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মিতভাবে প্লট গ্রহণের অভিযোগে প্রথম মামলা করে দুদক।
পরদিন, ১৩ জানুয়ারি শেখ রেহানা, তার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি এবং মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তীর বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়। এরপর ১৪ জানুয়ারি শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করে সংস্থাটি। সব মিলিয়ে মোট ছয়টি মামলায় শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
দুদকের অভিযোগ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় শেখ হাসিনা ও তার পরিবার সদস্যরা প্রভাব খাটিয়ে পূর্বাচল প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরে নিয়ম ভেঙে প্লট বরাদ্দ নেন, যা দুর্নীতির শামিল।