বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আক্ষেপ করে বলেছেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত’ তাকে বহু বছর প্রবাস জীবন কাটাতে হচ্ছে।
শনিবার দুপুরে ঢাকার কাকরাইলের উইলন্স লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে বিএনপির চিকিৎসক সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)-এর জাতীয় কাউন্সিল-২০২৫ এ লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
২০০৭ সালে এক/এগারোর সেনাসমর্থিত সরকারের সময় গ্রেপ্তার হন তারেক রহমান। ২০০৮ সালে জরুরি অবস্থার মধ্যে কারামুক্ত হয়ে সপরিবারে লন্ডনে যান তিনি। এরপর আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে অনুপস্থিতিতে পাঁচ মামলায় সাজা ও শতাধিক মামলার মুখোমুখি হন। পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হলে যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় নিতে হয় তাকে। ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যু এবং মায়ের কারাবাসের সময়ও দেশে ফিরতে পারেননি।
গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিস্থিতি বদলায়। আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণার পর তার দেশে ফেরা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। বর্তমানে তিনি নিয়মিতই ভার্চুয়ালি দেশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন।
ড্যাবের কাউন্সিলে বক্তব্যে তারেক রহমান সর্বত্র জবাবদিহিতার ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন,
“বাংলাদেশের মানুষের অনেক প্রত্যাশা বিএনপির কাছে। এর ক্ষুদ্র একটি অংশ হলো— একটি সঠিক, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক ব্যবস্থা গড়ে তোলা। আমরা যদি তা করতে পারি, ধীরে ধীরে স্থানীয় থেকে জাতীয় পর্যায়ে জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা সম্ভব।”
তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, ইংল্যান্ডে বহু বছরের প্রচেষ্টায় জবাবদিহিতা নিশ্চিত হওয়ায় মানুষ ন্যূনতম সেবা পায়। কিন্তু বাংলাদেশে এখনো এমন ব্যবস্থা তৈরি হয়নি।
বিএনপির দেওয়া ৩১ দফা বাস্তবায়নে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “এটি শুধুমাত্র সরকার বা দলের নেতৃবৃন্দের পক্ষে সম্ভব নয়। প্রতিটি মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন।”
তিনি আরও বলেন, “সমগ্র বাংলাদেশে এখন একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রত্যাশা রয়েছে। আগামী নির্বাচনে বিএনপির দেশ পরিচালনার সম্ভাবনা বেশি বলে মানুষ আমাদের কাছ থেকে ভালো পরিবর্তন আশা করছে। সেই পরিবর্তনের শুরুটা আমাদেরই করতে হবে।”
কাউন্সিলে সভাপতিত্ব করেন ড্যাবের কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিহউল্লাহ। সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক লুৎফুর রহমান। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
চেয়ারম্যানঃ এম এস চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালকঃ মোঃ এম রহমান, ঠিকানাঃ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত