বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা চালু হয়েছে। মঙ্গলবার (তথ্য অনুযায়ী) থেকে বাংলাদেশের গ্রাহকরা স্টারলিংকের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সংযোগের অর্ডার করতে পারবেন। প্রধান উপদেষ্টার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এই তথ্য ফেইসবুক পোস্ট ও সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানান।
ডেটা সীমা নেই: ব্যবহারকারীদের জন্য কোনো ডেটা ক্যাপ নেই।
সেটআপ খরচ: এককালীন ৪৭,০০০ টাকা (স্যাটেলাইট ডিশ, রাউটার, ট্রাইপড ও কেবলসহ)।
প্যাকেজ:
Starlink Residential: মাসিক ৬,০০০ টাকা
Starlink Residential Lite: মাসিক ৪,২০০ টাকা
ইন্টারনেট গতি ও লেটেন্সি: উচ্চগতির ও লো লেটেন্সি সুবিধা।
Wi-Fi রেঞ্জ: ২০ থেকে ৫০ মিটার পর্যন্ত।
উদ্যোক্তা বান্ধব নীতিমালা: ব্যক্তি বা সমবায় ভিত্তিতে উদ্যোক্তারা একসাথে সেটআপ কিনে বিভিন্ন দোকানে ইন্টারনেট সেবা দিতে পারবেন।
সেবা বিক্রির সুযোগ: শেয়ারিং ও বিক্রিতে কোনো আইনি বাধা নেই।
SME মডেল: Wi-Fi শেয়ারিং ও রাউটার-টু-রাউটার আইএসপি মডেল বাস্তবায়নযোগ্য।
মাইক্রোফাইন্যান্স সহায়তা: ক্ষুদ্রঋণ বা কিস্তিভিত্তিক অর্থায়নের ব্যবস্থা করতে কাজ চলছে। “Wi-Fi Lady” মডেল চালুরও সম্ভাবনা রয়েছে।
গ্রাউন্ড স্টেশন: বর্তমানে স্টারলিংকের স্থানীয় গ্রাউন্ড স্টেশন নির্মাণ চলছে; ৯০ দিনের মধ্যে সেটি বাধ্যতামূলকভাবে চালু হবে।
জাতীয় নিরাপত্তা: স্থানীয় গেটওয়ে ব্যবহারে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা।
ট্যাক্স/এনওসি: যন্ত্রপাতির উপর সরকার নির্ধারিত রেট, ভ্যাট, ট্যাক্স প্রযোজ্য।
দাম বেশি কিনা: এককালীন খরচ বেশি হলেও শেয়ারিংয়ের কারণে খরচ ভাগ হয়ে কমে আসে।
আঞ্চলিক তুলনা: বাংলাদেশে স্টারলিংকের দাম শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডের তুলনায় কম।
বাসস্থানের ক্ষেত্রে: একাধিক ফ্ল্যাট বা অ্যাপার্টমেন্ট মিলেও ব্যবহার করা সম্ভব।
Submarine Cable কোম্পানি
Satellite কোম্পানি
এই দুটি মাধ্যমেই সরকারের স্বার্থ সংরক্ষিত হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
বিকল্প কোম্পানির আগ্রহ: অ্যামাজন কুইপার, ওয়ানওয়েব, টেলিস্যাট ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখিয়েছে।
উন্মুক্ত নীতিমালা: মার্কিন বা চীনা কোম্পানি—সবার জন্য সমান সুযোগ থাকবে।