মার্কিন হামলার জবাবে হরমুজ প্রণালী বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইরান। ২২ জুন দেশটির পার্লামেন্ট এ প্রস্তাবে সম্মতি দিলেও চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে সুপ্রিম কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত। এরইমধ্যে বিশ্ববাজারে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে—ব্রেন্ট ক্রুডের দাম বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৭৭.৩৬ ডলার এবং ডব্লিউটিআই ৭৪.১৫ ডলারে পৌঁছেছে, যা সাম্প্রতিক সময়ে সর্বোচ্চ।
প্রতিদিন বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত তেলের প্রায় ২০ শতাংশ হরমুজ প্রণালী দিয়ে পরিবাহিত হয়, যার মূল্য প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, এ সিদ্ধান্তে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে চীন, ভারত ও পূর্ব এশিয়ার তেলনির্ভর দেশগুলো।
ইরান সমুদ্র খনি, ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন কিংবা দ্রুতগামী নৌযানের মাধ্যমে প্রণালী অবরুদ্ধ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম নৌবহর ও আন্তর্জাতিক মেরিটাইম বাহিনী ইতোমধ্যে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
ইতিহাসে কখনও প্রণালী পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন, কারণ যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানোর ৪৮ ঘণ্টার মাথায়ই এ সিদ্ধান্ত এলো।
বিশ্লেষকরা বলছেন, হরমুজ বন্ধের মাধ্যমে ইরান সাময়িক চাপ তৈরি করলেও, দীর্ঘমেয়াদে এটি তাদের নিজেদের অর্থনীতির জন্যও আত্মঘাতী হতে পারে। তেল রপ্তানি বন্ধ হলে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই আরও আর্থিক চাপে পড়বে তেহরান। তবু রাজনৈতিক ও সামরিক কৌশল হিসেবে এই পদক্ষেপ ব্যবহার করতে পারে তারা।
চেয়ারম্যানঃ এম এস চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালকঃ মোঃ এম রহমান, ঠিকানাঃ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত