রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি গোলচত্বর এলাকায় বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে সহপাঠীদের মর্মান্তিক মৃত্যু ও আহত হওয়ার ঘটনায় আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকাল থেকে তারা রাস্তায় নেমে আসে।
‘আমার ভাই মরলো কেন, জবাব চাই, জবাব দাও’—এই স্লোগানে গগনবিদারী চিৎকারে মুখর হয়ে ওঠে দিয়াবাড়ি এলাকা। শিক্ষার্থীদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড, চোখে অশ্রু আর কণ্ঠে ক্ষোভ। তারা ছয় দফা দাবি উত্থাপন করে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—নিহত, আহত ও নিখোঁজদের নির্ভুল তালিকা দ্রুত প্রকাশ; মৃতদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও স্থায়ী পুনর্বাসন; ঘটনাস্থলে স্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ; ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার আকাশে প্রশিক্ষণ বিমান নিষিদ্ধ করা; ঘটনায় দায়ীদের বিচার ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা এবং আহতদের সুচিকিৎসা ও মনোসামাজিক সহায়তা দেওয়া।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, “আমাদের ভাই-বোনেরা ক্লাসে বসে ছিল। এক মুহূর্তে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল। অথচ সরকার বলছে, মাত্র ২৭ জন মারা গেছে। আমরা জানি, নিহতের সংখ্যা শতাধিক। অনেকের লাশই খুঁজে পাওয়া যায়নি। অথচ এখনো কোনো সঠিক তালিকা প্রকাশ করা হয়নি।”
দুর্ঘটনার পরদিনেও শোক, বিভ্রান্তি আর ক্ষোভে বিপর্যস্ত শিক্ষার্থীরা ক্লাসে না ফিরে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। অনেক অভিভাবকও তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, “শিক্ষার্থীদের কান্না আর স্লোগানে বুক ভেঙে যাচ্ছে। এত প্রাণ গেল, তাও কেউ জবাবদিহি করছে না।”
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দিয়াবাড়ি এলাকায় শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন।