গত এক দশকের মধ্যে কম্বোডিয়ার সঙ্গে সবচেয়ে ভয়াবহ ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে এক লাখেরও বেশি মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) থাইল্যান্ডের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সীমান্তবর্তী চারটি প্রদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষকে সরিয়ে ৩০০-র বেশি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ১৪ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ১৩ জনই বেসামরিক নাগরিক।
থাইল্যান্ডের সীমান্ত থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কম্বোডিয়ার সামরোং শহরে শুক্রবার সকালেও গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে।
দীর্ঘদিন ধরে চলা সীমান্ত বিরোধ বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে ভয়াবহ সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে উভয় দেশ যুদ্ধবিমান, কামান, ট্যাংক ও স্থলসেনা মোতায়েন করে। পরিস্থিতির অবনতি এতটাই গুরুতর হয়ে ওঠে যে, শুক্রবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ এক জরুরি বৈঠকের আহ্বান জানায়।
কম্বোডিয়ার প্রাদেশিক প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানান, সীমান্ত এলাকায় গোলাবর্ষণে অন্তত একজন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন।
অদ্দার মিনচি প্রদেশের বানতেয় আমপিল জেলার প্রায় ১,৫০০ পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের মুখপাত্র মেথ মিয়াস ফিয়াকদে।
দীর্ঘমেয়াদি সীমান্ত বিরোধ বহু বছর ধরেই বিদ্যমান থাকলেও, এবারের সংঘর্ষের তীব্রতা নজিরবিহীন এবং সরাসরি বেসামরিক জনগণ এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংঘর্ষ বন্ধে আন্তর্জাতিক মহল দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।