রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলা নামে এক ব্যক্তির মরদেহ কবর থেকে তুলে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পদ্মার মোড়ে নিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে উত্তেজিত জনতা। এসময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন এবং এক সাংবাদিকসহ অন্তত অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়ি ও পুলিশের দুটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।
নিহত ব্যক্তির নাম রাসেল মোল্লা (২৮)। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শরিফ ইসলাম এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আতিয়ার রহমান।
ঘটনাকে ‘অমানবিক ও ঘৃণ্য’ উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এ জঘন্য অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনা হবে।
গোয়ালন্দের ইউএনও মো. নাহিদুর রহমান বলেন, দুপুরে ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটির ব্যানারে নুরুল হকের মাজারে হামলা করা হয়। এরপর তার লাশ কবর থেকে তুলে মহাসড়কে এনে পুড়িয়ে ফেলে উত্তেজিত জনতা।
এর আগে, শুক্রবার জুমার নামাজের পর গোয়ালন্দ আনসার ক্লাব মাঠে বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিক্ষুব্ধ জনতা নুরুল হকের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় ইউএনওর গাড়ি ও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব জানান, সমাবেশ শেষে বিক্ষোভকারীরা গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোনাপাড়া এলাকায় নুরুল হকের বাড়ির গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগও চালায়।
চেয়ারম্যানঃ এম এস চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালকঃ মোঃ এম রহমান, ঠিকানাঃ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত