
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো টার্মিনালে দাহ্য পদার্থ থাকার কারণেই আগুনের তীব্রতা বেড়ে যায় বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক। এ কারণে প্রাথমিক পর্যায়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।
তিনি জানান, ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর ৪০টিরও বেশি ফায়ার ভেহিকেল অংশ নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বেলা ১১টায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য দেন।
বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, “আগুন নেভাতে আসা কোনো ফায়ার ভেহিকেলকে বাধা দেওয়া হয়নি। অগ্নিকাণ্ড নিয়ে অনেক গুজব ছড়ানো হচ্ছে, যা দেশের বৃহত্তর স্বার্থে পরিহার করা জরুরি।”
তিনি আরও জানান, আগুনের সূত্রপাত সম্ভবত ইমপোর্ট কুরিয়ার সেকশন থেকে হয়েছে। তবে বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন। একাধিক সংস্থা কাজ শুরু করেছে, তদন্ত শেষ হলে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক জানান, আগুনের সময় বিমানবন্দরের নিজস্ব ফায়ার ইউনিট মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। পরে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের অন্যান্য ইউনিট যোগ দিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
তিনি বলেন, “আগুন লাগার সময় টার্মিনালের ভেতরে কয়েকটি বিমান ছিল, তবে দ্রুত সেগুলো নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। উত্তর ও দক্ষিণ পাশে কাট-অফ মেকানিজম ব্যবহার করে আগুন ছড়িয়ে পড়া রোধ করা সম্ভব হয়।”
বেবিচক চেয়ারম্যান আরও জানান, অগ্নিকাণ্ডের সময় ১৫টি ফ্লাইট বিভিন্ন রুটে পাঠানো হয় এবং পরদিন বিকেল ৪টার মধ্যে আটকে পড়া যাত্রীদের নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, “আগুন উত্তর পাশের বিমানের হ্যাঙ্গার বা দক্ষিণ পাশের মূল টার্মিনাল ভবনে ছড়িয়ে পড়েনি। সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা ও সমন্বিত উদ্যোগের ফলে বড় ধরনের বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে। আল্লাহর রহমতে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।”
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২৫
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি
Leave a Reply