
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে আঘাত হানার পর প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশের ওপর বড় কোনো প্রভাব পড়েনি, যদিও দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির দেখা মিলেছে।
প্রথমে প্রবল ঘূর্ণিঝড় থেকে ঘূর্ণিঝড়ে, এরপর গভীর নিম্নচাপ হয়ে বুধবার সন্ধ্যায় এটি নিম্নচাপে রূপ নেয়। এর প্রভাবে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করা হয়েছিল, তা হয়নি। ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সতর্ক সংকেত নামিয়ে ফেলতে নির্দেশ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বুধবার রাতে জারি করা ১২ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, স্থলভাগে প্রবেশের পর ঘূর্ণিঝড়টি দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়ে। এ নিয়ে আর কোনো বিশেষ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে না বলেও জানানো হয়।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, ‘মোন্থা দ্রুত দুর্বল হয়ে গেছে। ধারণা করা হয়েছিল, এটি দক্ষিণাঞ্চলে ভারী বৃষ্টি আনবে; কিন্তু এখন তেমন আশঙ্কা নেই। বৃহস্পতিবার কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে, তবে তা ভারী হবে না।’
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বুধবার দুপুরের পর থেকেই দক্ষিণাঞ্চলের আকাশ মেঘলা হয়ে যায়। খুলনা, বরিশাল ও উপকূলীয় কিছু এলাকায় থেমে থেমে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বয়ে যায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবারও দক্ষিণাঞ্চলের কিছু এলাকায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে, তবে ‘মোন্থা’ দুর্বল হয়ে যাওয়ায় সার্বিকভাবে ঝড়ের আশঙ্কা কেটে গেছে।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২৫
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি
Leave a Reply