ভারতে পালিয়ে যাওয়া ব্রিটিশ এমপি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। তিনি জানান, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে হাজির না হওয়ায় তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ জন্য ইন্টারপোলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

বুধবার (১৪ মে) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপস্থিত না হওয়ায় টিউলিপ সিদ্দিকের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ আর থাকছে না। তার বিরুদ্ধে তদন্তের পরবর্তী ধাপ শুরু হয়েছে, যা এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গড়িয়েছে। এর আগে, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ সুবিধা গ্রহণের অভিযোগে টিউলিপ সিদ্দিককে তলব করে দুদক। তাকে ১৪ মে সকাল ১০টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হতে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে নির্ধারিত সময়ে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণআন্দোলনের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর তার এবং পরিবারের একাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়। এর অংশ হিসেবে, রাজউকের একটি আবাসন প্রকল্পে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জালিয়াতির মাধ্যমে ১০ কাঠা করে ৬০ কাঠা জমি বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে শেখ হাসিনা, তার পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠজনসহ মোট ২৩ জনের বিরুদ্ধে ৬টি মামলা দায়ের করেছে দুদক।

টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ এবং তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন দুদক চেয়ারম্যান।