এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হবে বিমসটেকের ষষ্ঠ সম্মেলন। এতে অংশ নেবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রের নেতারা।
বাংলাদেশ সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে একটি বৈঠকের আয়োজন করতে ভারতকে চিঠি পাঠিয়েছে। বিষয়টি বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বার্তাসংস্থা এএনআইকে নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস তিনটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ইউনূস-মোদির আনুষ্ঠানিক বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন সদস্য প্রতিনিয়ত ভারতের সমালোচনা করছেন, যা দুই দেশের সম্পর্ককে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করেছে। ফলে দুই দেশের সরকার প্রধানের মধ্যে আনুষ্ঠানিক বৈঠক আয়োজন কঠিন হয়ে উঠেছে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, সম্মেলনে বিশ্ব নেতারা একাধিকবার পরস্পরের সামনে আসবেন, তখন ড. ইউনূস ও মোদির মধ্যে কিছু কথোপকথন হতে পারে, তবে আনুষ্ঠানিক কোনো বৈঠকের সম্ভাবনা কম।
২ থেকে ৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য বিমসটেক সম্মেলনে সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে অংশ নেবে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ড। এবারের সম্মেলন এমন সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নানা ইস্যুতে সংকটপূর্ণ।
বিশেষ করে, সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া এবং সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগে দিল্লির সঙ্গে ঢাকার সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইলেও ভারত এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি, যা দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে আরও প্রভাব ফেলছে।
চেয়ারম্যানঃ এম এস চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালকঃ মোঃ এম রহমান, ঠিকানাঃ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত