খুলনার নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টকে ঘিরে অস্থিরতা চরমে পৌঁছেছে। নিয়মবহির্ভূতভাবে নতুন ট্রাস্টি অন্তর্ভুক্তি, বোর্ড সভা আহ্বান এবং ফাউন্ডার ট্রাস্টিদের অবজ্ঞা করে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ট্রাস্টে বিভাজন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এর জেরে সংকটে পড়েছে ট্রাস্টের একমাত্র প্রতিষ্ঠান “নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি” এবং অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন সেখানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরাও।
সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের ৫ আগস্টের পর বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্য হিসেবে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগ-ঘনিষ্ঠ হওয়ায় বর্তমানে তাঁরা নিষ্ক্রিয়। এই প্রেক্ষাপটে ২০২৪ সালের ২২ আগস্ট অনুষ্ঠিত ট্রাস্টি বোর্ডের ৬৬তম সভায় সর্বসম্মতিক্রমে চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সিরাজুল হক চৌধুরী।
চেয়ারম্যান ওই সভায় বোর্ডে শূন্য থাকা তিনটি পদে তার পছন্দের ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব দেন, যদিও অধিকাংশ সদস্য এর বিরোধিতা করেন। এরপরও ১৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ৬৮তম সভায় মিজানুর রহমান এবং ১০ ডিসেম্বর ৬৯তম সভায় সৈয়দ হাফিজুর রহমানকে ট্রাস্টি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, এসব নিয়োগ “মেমোরেন্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশন অ্যান্ড রুলস অ্যান্ড রেগুলেশন”-এর ০২ ও ০৩ নম্বর ধারা লঙ্ঘন করে করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে ১৫ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান বরাবর একটি আবেদন জমা দেওয়া হয়, যার অনুলিপি শিক্ষা সচিব ও নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলরকেও পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, অভিযোগ উঠেছে—নিয়ম লঙ্ঘন করে ট্রাস্টিতে যোগ দেওয়া দুই সদস্য এখন গোপন বৈঠক করে নিজেদের বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান ও সচিব হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবিষ্যৎ নিয়ে দেখা দিয়েছে গভীর অনিশ্চয়তা, আর ক্ষতির মুখে পড়তে পারে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক জীবন।