দীর্ঘ আলোচনা শেষে ইউক্রেনের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ যৌথভাবে ব্যবহারে চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন। এই চুক্তির আওতায় যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের অর্থনীতি পুনর্গঠনে গঠিত হবে একটি ‘পুনর্গঠন বিনিয়োগ তহবিল’।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেস্যান্ট বলেন, এটি ইউক্রেনের প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে এবং শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি বহন করে। ইউক্রেনের ফার্স্ট ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার ইউলিয়া সভিরিদেঙ্কো চুক্তি স্বাক্ষরে ওয়াশিংটনে গিয়ে জানান, এতে খনিজ, তেল ও গ্যাস খাতের প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত থাকবে এবং মালিকানা ইউক্রেনেরই থাকবে।
চুক্তি অনুযায়ী, অংশীদারিত্ব সমান হবে এবং কিয়েভের সংসদে এটি অনুমোদিত হতে হবে। মার্কিন সহায়তায় ইউক্রেন পাবে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম।
বিশ্বের উল্লেখযোগ্য গ্রাফাইট, টাইটানিয়াম ও লিথিয়াম মজুদ রয়েছে ইউক্রেনে, যা নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা খাতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। চুক্তিটি এমন সময়ে হয়েছে যখন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনা চলছে এবং চীন বিশ্বে বিরল খনিজের ৯০ শতাংশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
চুক্তি বাস্তবায়নে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপ ছিল। তবে তার চাওয়ার তুলনায় এটি তুলনামূলকভাবে সীমিত। তিনি ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তার পূর্ণমূল্য ফেরত চেয়েছিলেন।
শেষ মুহূর্তের কিছু মতভেদ ও বিলম্বের পর গত সপ্তাহে দুই দেশের প্রতিনিধিরা চূড়ান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। সূত্র জানায়, ভ্যাটিকানে পোপের শেষকৃত্যের সময় জেলেনস্কি ও ট্রাম্পের সাক্ষাতের পরই চুক্তি সইয়ের ঘোষণা আসে।
চেয়ারম্যানঃ এম এস চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালকঃ মোঃ এম রহমান, ঠিকানাঃ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত