আজ (২৫ জুলাই) দুপুর থেকে নির্মাতাদের ফেসবুক ওয়ালে এবং সাংবাদিকদের মেসেঞ্জার গ্রুপে একটি চিঠি ঘুরে বেড়াচ্ছে, যার বিষয়বস্তু উত্তরা সেক্টর ৪-এর ১২ নম্বর রোডের ৪২ নম্বর বাড়িতে শুটিং কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা।
উল্লেখ্য, উত্তরা সেক্টর ৪ এলাকায় অবস্থিত ‘লাবণী-৪’, ‘লাবণী-৫’ ও ‘আপনঘর-২’ নামে তিনটি শুটিং হাউসে নিয়মিত নাটকের শহুরে দৃশ্য ধারণ করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে একটি হাউসের বিরুদ্ধে হঠাৎ করে এমন নিষেধাজ্ঞা নির্মাতাসহ নাট্যজগতের অনেককে বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন করেছে।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, উক্ত বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে বাণিজ্যিকভাবে শুটিং কার্যক্রম চালানো হচ্ছে, যার ফলে রাস্তায় ভিড় বাড়ে, যান চলাচলে সমস্যা হয় এবং স্থানীয় বাসিন্দারা বিরক্ত হন। তাই, ওই বাড়িতে অনতিবিলম্বে শুটিং কার্যক্রম বন্ধের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এই নোটিশকে অনেক নির্মাতা অন্যায্য দাবি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। জনপ্রিয় নির্মাতা এসএ হক অলিক সরাসরি প্রশ্ন তুলে বলেন, “আবাসিক এলাকায় থাকা ‘মদের বার’, ‘ব্যবসা প্রতিষ্ঠান’, ‘দোকানপাট’, ‘ব্যক্তিগত অফিস’—এইসব কি আবাসিক নীতিমালার পরিপন্থী নয়? যদি শুটিং হাউস নিষিদ্ধ হয়, তবে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে অন্য বাণিজ্যিক কার্যক্রমও বন্ধ করতে হবে।”
নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী, মাহমুদ দিদার, তপু খান, মাকসুদুল হক, অভিনয়শিল্পী সংঘের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও অভিনেতা রওনক হাসানসহ অনেকে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি শহীদুজ্জামান সেলিম বলেন, “এভাবে হঠাৎ করে একটি চিঠি দিয়ে শুটিং বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। একটি হাউসে অনেক ধারাবাহিক নাটকের শুটিং হয়, যেগুলোর কন্টিনিউটি থাকে। হুট করে বন্ধ করা গেলে তা প্রোডাকশন ও সম্প্রচারে বিপর্যয় ডেকে আনবে। অন্তত সময় দিয়ে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া যেত।”
তিনি আরও জানান, “ডিরেক্টরস গিল্ড এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং আজই আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেব। হাউসের মালিকদেরও আশ্বস্ত করেছি—আপনাদের পাশে আমরা আছি।”
এই পরিস্থিতিতে নির্মাতারা একটি যৌক্তিক সমাধান চান এবং আবাসিক এলাকাগুলোর নীতিমালায় সমতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।