ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগণনা শুরু হয়েছে। স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রগুলোর সামনে বড় এলইডি স্ক্রিনে সরাসরি ভোট গণনার দৃশ্য দেখানো হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা আট ঘণ্টা আটটি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। কোনো বড় ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। ভোট শেষে কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে নির্বাচনী কর্মকর্তারা গণনা শুরু করেন। ডাকসু নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাত ১২টার আগেই ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। ভোট শেষে বিভিন্ন কেন্দ্রের সামনে প্রার্থী ও শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। সবাই অধীর আগ্রহে ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছেন। কে জয়ী হবেন—তা নিয়ে পুরো ক্যাম্পাসে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
এদিন বিকেল ৩টার দিকে সিনেট ভবনের তিনটি কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, “আমরা আশা করছি, যিনি জিতবেন এবং যিনি পরাজিত হবেন, সবাই ফলাফল মেনে নেবেন। কারণ কোথাও কোনো স্বচ্ছতার ঘাটতি নেই।”
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ডাকসু নির্বাচনে গড়ে প্রায় ৮০ শতাংশ ভোট পড়েছে। জহুরুল হক হলে মোট ১,৯৬৩ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১,৬৫৮ জন (৮৩.৪৩ শতাংশ)। এস এম হলে ৬৬৫ জন ভোটারের মধ্যে ৫৫২ জন ভোট দিয়েছেন (৮২.৯৩ শতাংশ)। জগন্নাথ হলে ২,২২২ ভোটারের মধ্যে ১,৮৩১ জন ভোট দিয়েছেন (৮২.৪৫ শতাংশ)। তবে রোকেয়া হলে তুলনামূলকভাবে কম ভোট পড়েছে—৫,৬৭৬ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৩,৯০৭ জন, যা ৬৯ শতাংশ।
ডাকসু নির্বাচনে এবার মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে পাঁচটি ছাত্রী হলে ১৮ হাজার ৯৫৯ জন এবং ১৩টি ছাত্র হলে ২০ হাজার ৯১৫ জন ভোটার। মোট ২৮টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৭১ জন প্রার্থী, যাদের মধ্যে বিভিন্ন পদে ৬২ জন ছাত্রী রয়েছেন।