
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ডা. মো. আবু জাফরের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন চিকিৎসক ডা. ধনদেব চন্দ্র বর্মণ। এ ঘটনার পর তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি ও শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নেয়।
গত বছর আগস্ট থেকে হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ সার্ভিসের ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন ডা. ধনদেব চন্দ্র বর্মণ। বর্তমানে তিনি জরুরি বিভাগের ক্যাজুয়ালটি ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। অসৌজন্যমূলক আচরণের কারণে তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে। জবাব পাওয়ার পর তাকে অন্য বিভাগে বদলি করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. মাঈন উদ্দিন।
শনিবার হাসপাতালের শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মিলনায়তনে ‘শিশুদের মূত্রাশয় ও প্রজননতন্ত্রের রোগের চিকিৎসার অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে যোগ দিতে আসেন স্বাস্থ্যের ডিজি আবু জাফর। সেমিনারের আগে তিনি হাসপাতালের সেবা, জরুরি বিভাগ, রোগী ব্যবস্থাপনা ও স্টাফ উপস্থিতি পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনের সময় ক্যাজুয়ালটি অপারেশন থিয়েটারের ভেতরে একটি টেবিল দেখে ডিজি কারণ জানতে চান। এ নিয়ে ডিজি ও ডা. ধনদেবের মধ্যে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। রোগীর চাপ, জনবল সংকট ও বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা তুলে ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ধনদেব। ডিজি তাকে কথাবার্তায় সংযত হতে বললে তিনি পাল্টা তর্কে জড়িয়ে পড়েন।
তর্কের এক পর্যায়ে ডা. ধনদেব বলেন, “আমাকে সাসপেন্ড করেন, নো প্রবলেম।” ডিজি পাল্টা মন্তব্য করেন, “যারা ডিজির সঙ্গে এমন আচরণ করে, তারা রোগীর সঙ্গে কেমন আচরণ করে?” উত্তরে ধনদেব বলেন, “রোগীর সঙ্গে আমি ভালো আচরণ করি, তবে দায়িত্বরতদের সঙ্গে ভালো আচরণের দরকার নেই।”
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে ডিজি সিদ্ধান্ত নেন তাকে বহিষ্কারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি ও শোকজ নোটিশ প্রদান করে।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২৫
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি
Leave a Reply