1. live@media71bd.com : Media71 : Media71
  2. info@www.media71bd.com : Media 71 :
রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:০৬ অপরাহ্ন

৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • প্রকাশিত: রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের চীন সফর শেষে মোট ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তি দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সফরকালে পাকিস্তানি ও চীনা কোম্পানির মধ্যে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি হয়, যা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও শিল্প সহযোগিতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এসব চুক্তির গুরুত্ব তুলে ধরেন।


চুক্তির পাশাপাশি উভয় দেশ ৭ বিলিয়ন ডলারের সমঝোতা স্মারকেও স্বাক্ষর করে। এসব প্রকল্প পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়ক হবে। প্রধানমন্ত্রী জানান, চুক্তি ও সমঝোতা বাস্তবায়নের জন্য স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।


চীন সফরের শেষে এক বিদায়ী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ বলেন, “আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।” তিনি আশা প্রকাশ করেন, নতুন চুক্তি ও উদ্যোগ উভয় দেশের জন্য বাস্তব সুফল বয়ে আনবে।


বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন শেহবাজ শরিফ। প্রতিনিধি দল পর্যায়ের আলোচনায় সিপিইসি (চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর) দ্বিতীয় ধাপের আওতায় নতুন সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। উভয় দেশ পাঁচটি নতুন অর্থনৈতিক করিডর চালুর বিষয়ে সম্মত হয়। কৃষি, খনন ও খনিজ, টেক্সটাইল, শিল্প এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। পাশাপাশি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, মিডিয়া ও কৃষি খাতে সহযোগিতাও জোরদার করা হয়।


দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী সর্বকালীন কৌশলগত সহযোগিতা অংশীদারিত্ব আরও শক্তিশালী করার অঙ্গীকার করেন। এ সময় একটি যৌথ কর্মপরিকল্পনা স্বাক্ষরিত হয়, যা পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। পাকিস্তানের আঞ্চলিক অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব ও সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নে চীনের অব্যাহত সমর্থনের জন্য শেহবাজ কৃতজ্ঞতা জানান।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ পাকিস্তানের চীনা মূলধন বাজারে ‘পান্ডা বন্ড’ ইস্যুর পরিকল্পনার কথা জানান। তিনি করাকোরাম হাইওয়ে পুনঃসংলগ্নকরণ, মেইন লাইন–১ রেলপথ উন্নয়ন এবং গওয়াদার বন্দর সচল করার মতো গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়া তিনি জানান, আসন্ন বেইজিং বিনিয়োগ সম্মেলনে ৩০০-এরও বেশি পাকিস্তানি ও ৫০০ চীনা কোম্পানি অংশ নেবে, যা ব্যবসা ও বিনিয়োগ সহযোগিতার সুযোগ বাড়াবে।

বৈঠক শেষে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াং শেহবাজ শরিফ ও তার প্রতিনিধিদলের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন। এতে দুই দেশের অভিন্ন ভিশন—অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কৌশলগত সহযোগিতার প্রতি অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট
error: Content is protected !!