সরকারি চাকরিতে চার ধরনের অপরাধের জন্য চাকরিচ্যুতির বিধান নিয়ে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছে সরকার। রোববার (২৫ মে) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে এ অধ্যাদেশ প্রকাশিত হয়।
গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদে অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদনের পর সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিক্ষোভ চলছিল। সেই আন্দোলনের মাঝেই সরকার এই অধ্যাদেশ জারি করেছে।
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর প্রয়োজনীয় ও অতিরিক্ত সংশোধন করা হয়েছে। এছাড়া সংসদ ভেঙে যাওয়া অবস্থায় রাষ্ট্রপতি আশু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি দেখতে পেয়ে সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অধ্যাদেশ জারি করেছেন।
অধ্যাদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, যদি কোনো সরকারি কর্মচারী নিম্নলিখিত চারটি অপরাধের মধ্যে লিপ্ত হন, তাহলে তাকে অসদাচরণের দায়ে দণ্ডিত করা হবে:
১. অন্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে অনানুগত্য সৃষ্টি করা বা শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করা, বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধা দেওয়া।
২. অন্যান্য কর্মচারীদের সঙ্গে সমবেতভাবে বা এককভাবে, ছুটি ছাড়াই বা যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া কর্তব্যে অনুপস্থিত থাকা বা বিরত থাকা বা কর্তব্য পালন ব্যর্থ হওয়া।
৩. অন্য কর্মচারীকে কর্ম থেকে অনুপস্থিত থাকতে বা কর্তব্য পালন না করতে উসকানি দেওয়া বা প্ররোচিত করা।
৪. সরকারি কর্মচারীকে কর্মে উপস্থিত হতে বা কর্তব্য পালন করতে বাধা দেওয়া।
এই অপরাধগুলোর ক্ষেত্রে দণ্ড হিসেবে নিম্নপদ বা নিম্ন বেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ, চাকরি থেকে অপসারণ বা বরখাস্তের ব্যবস্থা নেওয়া যাবে বলে অধ্যাদেশে বলা হয়েছে।