রাজউকের পল্ট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক এবং ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
রোববার (১৩ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ পরোয়ানা জারি করেন। দুদকের চার্জশিট আমলে নিয়ে এবং আসামিরা বিদেশে পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত দেন বিচারক।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম।
এর আগে বৃহস্পতিবার, একই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ মোট ১৮ জনের বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
পরোয়ানাভুক্ত অন্যান্য আসামিরা হলেন—
গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার,
জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পুরবী গোলদার,
অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন,
সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার,
রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা,
রাজউকের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম,
কবির আল আসাদ, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন,
মেজর (অব.) প্রকৌশলী সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী,
মো. নুরুল ইসলাম, পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলাম,
উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান,
হাবিবুর রহমান, মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, এবং
শরীফ আহমেদ।
শেষের দুইজনকে তদন্তে প্রাপ্ত আসামি হিসেবে চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রোডের ৬টি প্লট অবৈধভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা ক্ষমতায় থাকার সময় তাদের ওপর অর্পিত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই বরাদ্দ আদায় করেন। তারা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হলেও অসৎ উদ্দেশ্যে এই সুবিধা গ্রহণ করেন।
এছাড়া, মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাহউদ্দিন এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১৪ কর্মকর্তার নাম রয়েছে।
দুদক এ সংক্রান্ত ৮টি পৃথক চার্জশিট দাখিল করে, যেগুলো ২০২৪ সালের ১২, ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি দায়ের করা হয়।
আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ১৬১/১৬৩/১৬৪/৪০৯/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।