আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা ও দলটির নেতাদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিকেল ৩টায় বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে এই সমাবেশ শুরু হয়। ঢাকা মহানগর শাখার আয়োজিত এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে আসেন এনসিপির নেতাকর্মীরা।
সমাবেশের কারণে বায়তুল মোকাররমের জিরো পয়েন্ট থেকে বঙ্গভবন অভিমুখী প্রধান সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এলাকায় দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া অবস্থান।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ।
কেন্দ্রীয় নেতা মশিউর রহমান বলেন, “আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে আর রাজনীতি করতে পারবে না— গত ৫ আগস্ট সেই সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হয়েছে।”
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় নেতা জয়নাল আবেদিন শিশির বলেন, “আওয়ামী লীগ এবং খুনি হাসিনা ও তাঁর দোসরদের বিচার অবশ্যই হতে হবে। এই দাবি আদায়ে এনসিপি মাঠে আছে, থাকবে।”
সমাবেশে শহীদ খালিদ সাইফুল্লার পিতা ডা. কামরুল বলেন, “আমার ছেলের বুকে ৭০টা গুলি করা হয়েছিল। খুনি হাসিনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত এদেশে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।”
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শাহবাগ এলাকায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ এখন আর কোনো রাজনৈতিক দল নয়। গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তারা রাজনৈতিক বৈধতা হারিয়েছে। দ্রুত তাদের বিচার করে দলটিকে নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন।”
তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগের কেউ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অধিকার রাখে না। নতুন নির্বাচন কমিশনের উচিত হবে নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা।”
এনসিপি জানিয়েছে, গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগের বিচার এবং দলটির রাজনৈতিক তৎপরতা নিষিদ্ধের দাবিতেই এই কর্মসূচির আয়োজন।