1. live@media71bd.com : Media71 : Media71
  2. info@www.media71bd.com : Media 71 :
শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ১০:১০ অপরাহ্ন

ভারতের পণ্য নিষেধাজ্ঞার পাল্টা পদক্ষেপ নয়: ঢাকা

প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫

ভারত স্থলবন্দর হয়ে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকসহ বেশ কিছু পণ্যের আমদানিতে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পরও পাল্টা কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (২০ মে) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে ব্যবসায়ী নেতাদের এক বৈঠক শেষে এ অবস্থান তুলে ধরেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “আজ আমরা এ বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে বসেছিলাম, তাদের মতামত নিয়েছি। পরিস্থিতির যেন আরও অবনতি না হয়, সেটাই আমাদের প্রচেষ্টা।”

তিনি জানান, ব্যবসায়ীদের বক্তব্য শুনে বিষয়টি এখন নীতিনির্ধারক ও উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা দুই দেশের ব্যবসার জন্যই ক্ষতিকর উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা কোনো ধরনের পাল্টা কর্মসূচিতে যাচ্ছি না। আমরা তাদের (ভারতের) সঙ্গে এনগেজ হব।”

বাণিজ্য সচিব আরও বলেন, “আমরা বলব, এতে শুধু বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা নয়, ভারতের ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কাজেই আসুন আমরা বসি, একটা সমাধান খুঁজি। আমাদের মধ্যে সচিব পর্যায়ে একটি প্রতিষ্ঠিত ফোরাম আছে। বৈঠকের জন্য গত সপ্তাহে আমরা ভারতকে একটি চিঠি পাঠিয়েছি। সেই চিঠির উত্তর এলে বোঝা যাবে, কবে বৈঠক হতে পারে।”

বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি নৌপরিবহন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এবং বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ব্যবসায়ী পক্ষ থেকে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ ও ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়, যাতে বলা হয়—স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে কোনো তৈরি পোশাক পণ্য ভারতে প্রবেশ করতে পারবে না। এসব পণ্য এখন কেবল কলকাতা ও মুম্বাইয়ের নভসেবা (জওহরলাল নেহরু) সমুদ্রবন্দর দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় আরও রয়েছে—ফল ও ফল-স্বাদযুক্ত পানীয়, কার্বোনেটেড ড্রিংকস, বেকারি পণ্য, চিপস, স্ল্যাকস ও কনফেকশনারির প্রক্রিয়াজাত খাবার; তুলা ও সুতার ঝুট; পিভিসি ও বিভিন্ন প্লাস্টিকজাত পণ্য; কাঠের তৈরি আসবাবপত্র।

ভারতের ঘোষণা অনুযায়ী, আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরামের কোনও ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন (LCS) বা ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট (ICP) দিয়ে এবং পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ী এলসিএস দিয়েও এসব পণ্য প্রবেশ করতে পারবে না।

নিষেধাজ্ঞার ঘোষণার পরদিনই বাংলাদেশি পণ্যবাহী বহু ট্রাক বিভিন্ন স্থলবন্দরে আটকা পড়ে। বেনাপোল বন্দরে তৈরি পোশাকবাহী ৩৬টি ট্রাক আটকে থাকার খবর পাওয়া গেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট