1. live@media71bd.com : Media71 : Media71
  2. info@www.media71bd.com : Media 71 :
শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ০৯:২৮ অপরাহ্ন

কালো টাকা সাদা করার সুযোগে সমালোচনায় সিপিডি ও টিআইবি

প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫

২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ আবাসন খাতে বিনিয়োগ করে বৈধ করার সুযোগ রাখায় কড়া সমালোচনা করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। তাদের মতে, এই উদ্যোগ নৈতিকতা, বৈষম্য ও সংবিধানের বিরুদ্ধাচরণ।

সোমবার (৩ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ। সেখানে বলা হয়, নির্দিষ্ট হারে কর দিয়ে কালো টাকা রিয়েল এস্টেট খাতে বিনিয়োগ করলে তা বৈধ করা যাবে। তবে এবার করের হার আগের তুলনায় কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।

“নৈতিকতা ক্ষুণ্ন, বৈষম্য বাড়বে” — সিপিডি

বাজেট ঘোষণার পর সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন,

“বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বহাল রাখা হয়েছে। তাতে যারা নিয়মিত, নৈতিকভাবে কর দেন, তাদের নৈতিকতায় আঘাত করা হয়েছে। এ পদক্ষেপে সরকারের খুব বেশি আয় হবে বলেও মনে হয় না।”

তিনি আরও বলেন,

“আর এক-দুইবার এ সুযোগ দিয়ে সেটিকে পুরোপুরি বন্ধ করা উচিত। অন্যথায়, বৈধ আয়কারীদের সঙ্গে একটি স্পষ্ট বৈষম্য তৈরি হবে।”

“সংবিধান লঙ্ঘন, দুর্নীতির উৎসাহ” — টিআইবি

একই বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এক বিবৃতিতে বলেন,

“অন্তর্বর্তী সরকারের এই সিদ্ধান্ত দুর্নীতিবিরোধী সংস্কারের মূল উদ্দেশ্যের পরিপন্থী। এটি একটি অনৈতিক, বৈষম্যমূলক এবং সংবিধান পরিপন্থি সিদ্ধান্ত।”

তিনি উল্লেখ করেন, সংবিধানের ২০(২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে,

“রাষ্ট্র এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে যাতে অনুপার্জিত আয় অবৈধ হয়।”
এই বাজেট সেই অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন,

“এই সিদ্ধান্ত দুর্নীতিকে উৎসাহ দেবে এবং রিয়েল এস্টেট লবির চাপে সরকার আত্মসমর্পণ করেছে। কর হার যাই হোক, কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ সৎ আয়কারীদের জন্য বৈষম্যমূলক অবস্থার সৃষ্টি করবে।”

তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন,

“ফলস্বরূপ, আবাসন খাতে অবৈধ অর্থের মালিকরা একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করবে। এতে করে সৎ উপার্জনকারীরা ফ্ল্যাট বা ভবনের অংশীদার হওয়ার সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হবেন।”

সংক্ষিপ্ত মন্তব্য:
অন্তর্বর্তী সরকারের এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে নীতি নির্ধারক মহলে যেমন বিতর্ক শুরু হয়েছে, তেমনি অর্থনীতি ও শাসনব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিয়েও নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট