আজ বৃহস্পতিবার, ৯ জিলহজ, হিজরি ১৪৪৬ সনের পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা আরাফার ময়দানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। হজের প্রধান রোকন—আরাফায় অবস্থানের জন্য ফজরের নামাজের পর থেকেই হাজিরা আরাফার ময়দানে জড়ো হতে শুরু করেন।
আরাফার ময়দান মিনার প্রায় ১৫ কিলোমিটার পূর্বদিকে অবস্থিত। হাজিরা সেখানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করবেন। এরপর তাঁরা প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে মুজদালিফার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। সেখানে মাগরিব ও এশার নামাজ একত্রে আদায় করে রাত যাপন করবেন এবং শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের জন্য ৭০টি কংকর সংগ্রহ করবেন।
এর আগে হাজিরা মিনায় রাত কাটিয়ে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন। মিনায় অবস্থানের পর আজ সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা আরাফায় পৌঁছান।
আরাফার প্রান্তর আজ সকাল থেকেই পবিত্রতায় আবৃত। শুভ্র এহরামের দুই খণ্ড কাপড়ে আচ্ছাদিত প্রায় ২৫ লক্ষাধিক মুসলমান সেখানে সমবেত হয়েছেন। বাংলাদেশ থেকেও এবারের হজে অংশ নিয়েছেন ৮৭ হাজারেরও বেশি হাজি।
আরাফার ময়দানে হাজিরা আল্লাহর জিকির, ইবাদত ও দোআয় মগ্ন থাকবেন সূর্যাস্ত পর্যন্ত। কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত মসজিদে নামিরা থেকে হজের ঐতিহাসিক খুতবা প্রদান করবেন মসজিদুল হারামের খতিব এবং সৌদি সিনিয়র ওলামা পরিষদের সদস্য ড. শায়খ সালেহ বিন হুমায়েদ।
খুতবাটি বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা হবে। বাংলা অনুবাদ করবেন চারজন বাংলাদেশি আলেম—ড. খলীলুর রহমান, আ ফ ম ওয়াহিদুর রহমান, মুবিনুর রহমান ও নাজমুস সাকিব। তাঁরা সবাই মক্কার উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।
১০ জিলহজ হাজিরা মিনায় গিয়ে সম্পন্ন করবেন হজের চারটি গুরুত্বপূর্ণ রীতিনীতি:
১. জামারায় শয়তানকে কংকর নিক্ষেপ,
২. পশু কোরবানি,
৩. চুল কাটা বা মুন্ডন,
৪. কাবা শরিফে তাওয়াফে জিয়ারত।
এই আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে শেষ হবে ইসলামের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ পবিত্র হজ।